শান্তনু কর, জলপাইগুড়ি: সপ্তমীর পুজো শেষে মাঝরাতে রাজবাড়ির ঠাকুর দালানে ফের বেজে ওঠে কাঁসর-ঘণ্টা-শাঁখ। শুরু হয় পুজো (Durga Puja 2023)। কিন্তু সেই পুজোর রীতি বড়ই কঠিন। পুজোয় অংশ নেওয়ার ক্ষেত্রে রয়েছে শর্ত। রাজ পরিবারের সদস্য ছাড়া অন্য কেউ এই পুজোয় যোগ দিতে পারবেন না। কিন্তু কেন এই নিয়ম জলপাইগুড়ি বৈকন্ঠপুর রাজবাড়ির পুজোয়?
বৈকুণ্ঠপুরের রাজবাড়ির পুজোর বয়স ৫১৪ বছর। সপ্তমীর রাত বা অষ্টমী তিথির শুরুতে এ বাড়িতে শুরু হয় ‘অর্ধরাত্রির পুজো’। সেখানে চাইলেও প্রবেশ করতে পারব না আমজনতা। এটাই নিয়ম। কথিত আছে, একসময় নরবলি দেওয়া হত এই পুজোয়। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে নিয়ম বদলেছে। এখন আর রক্ত মাংসের মানুষকে বলি দেওয়া হয় না।
[আরও পড়ুন: অসুস্থকে নিয়ে ‘মা’ উড়ালপুলে উঠল রিকশা, প্রশ্নের মুখে ট্রাফিক নজরদারি]
বরং চালের গুঁড়ো দিয়ে তৈরি হয় নর। তার পর কুশ দিয়ে বলি দেওয়া হয় সেই ‘নর’কে। এ প্রসঙ্গে রাজ পরিবারের কুল পুরোহিত শিবু ঘোষাল বলেন, “বাবা-দাদুদের কাছে শুনে এসেছি, মাঝরাতের পুজোয় এখানে নরবলি দেওয়া হত। ৯টি পায়রাও বলি দেওয়া হত। এখন সেই রীতি না থাকলেও চালের গুঁড়ো তৈরি করে নর তৈরি করে কুশ দিয়ে বলি দেওয়া হয়। কিন্তু পুজোয় রাজ পরিবারের সদস্য ছাড়া অন্য কেউ উপস্থিত থাকতে পারেন না।”