শুভঙ্কর বসু: ভোটের দামামা বেজে গেল রাজ্যে। সোমবার রাজনৈতিক দলগুলির সঙ্গে বৈঠকের পর এ রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক আরিজ আফতাব জানালেন ভোটার তালিকা সংশোধন ও চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশের দিনক্ষণ। করোনা পরিস্থিতিতে ভিড় এড়াতেও ব্যবস্থা নিচ্ছে কমিশন।
করোনা (Coronavirus) পরিস্থিতিতে আগামী বছর অর্থাৎ ২০২১ সালে বিধানসভা নির্বাচন হবে বাংলায়। স্বাভাবিকভাবে পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে ভোট করানোর ক্ষেত্রে অনেক বেশি প্রস্তুতির প্রয়োজন। হাতে সময়ও কম। তাই সমস্ত রাজনৈতিক দলের মতামত জানতে সোমবার বৈঠকে বসেন মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক। সকলের মতামত গ্রহণ করেন। বৈঠক শেষে জানা যায়, চলতি মাসের ১৮ তারিখ প্রকাশিত হবে ভোটার তালিকা খসড়া। এরপর ১৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত চলবে সংশোধন অর্থাৎ নাম তোলা, বাদ দেওয়া-সহ যাবতীয় কাজ। আগামী ১৫ জানুয়ারী প্রকাশিত হবে চূড়ান্ত তালিকা। এই চূড়ান্ত তালিকায় নাম থাকা ব্যক্তিরাই ভোটার হিসেবে বিবেচিত হবেন।
জানা গিয়েছে, রাজ্যের মোট ৭৮, ৯০০টি বুথের প্রতিটিতে থাকবেন ১ জন করে বিএলও। প্রতি বুথে ২ দিন করে চলবে সংশোধনের কাজ। সূত্রের খবর, এবার রাজ্যে বাড়ছে ৯৯টি বুথ। কারণ, যে সব বুথে দেড় হাজারের বেশি ভোটার করোনা পরিস্থিতির কথা বিচার করে সেগুলিকে বিভক্ত করা হচ্ছে।
[আরও পড়ুন: বিক্ষোভকারী সাফাইকর্মীদের উপর ব্যাপক লাঠিচার্জ পুলিশের, পরিস্থিতি ঘিরে উত্তপ্ত মালদহ]
নির্বাচন কমিশনের (Election Commission) যাবতীয় সিদ্ধান্ত জানার পরই তৃণমূল মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায় বলেন, “রাজ্যে বহু পরিযায়ী শ্রমিক এসেছেন। এমন অনেকে রয়েছেন যাঁরা হয়ত এখানে থাকতেন না বহু বছর। ফলে এখানকার তালিকায় তাঁদের নাম নেই। আবার গঙ্গা ভাঙনের ফলে অনেকের ঠিকানা বদলেছে। এহেন সকলের নাম চূড়ান্ত তালিকায় থাকবে বলে আশা করি।” ত্রুটিহীন ভোটার তালিকা তৈরির আবেদন করেন তিনি। একই দাবি বিজেপি, সিপিএম, কংগ্রেস সকলেরই। কারও আবেদন বাতিল হলে তার যথাযথ কারণ জানাতে হবে বলেও দাবি করেন সিপিএম নেতা রবীন দেব। বিএলও-র দায়িত্ব যেন স্থায়ী সরকারি কর্মীদেরই দেওয়া হয়, তা নিশ্চিত করার দাবি জানান বিজেপি নেতা জয়প্রকাশ মজুমদার।