সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ‘হিন্দু না মুসলিম ওই জিজ্ঞাসে কোনজন?’ এ ছবি দেখার পর পর হয়তো সে জিজ্ঞাসা বাতুলতা মাত্র। দেশে যখন সাম্প্রদায়িক হানাহানি মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে বলে অভিযোগ, তখন সম্প্রীতির অন্য ও অনন্য ছবি দেখা গেল মুম্বইয়ে। গণপতিকে সাক্ষী রেখেই নমাজ সারলেন ধর্মপ্রাণ মুসলিমরা।
[ নোট বাতিলে ক্ষতি হবে জানিয়েছিলাম, বিস্ফোরক স্বীকারোক্তি রঘুরাম রাজনের ]
সময়টা বড় গোলমেলে, আক্ষেপ অনেকের। রাজনৈতিক উদ্দেশ্য হোক আর যাই হোক, হিন্দু-মুসলিমের সম্প্রীতিতে কারা যেন বিষ ছড়াচ্ছে! প্রায়শই এ অভিযোগ ওঠে। হিংসার ঘটনাও কম ঘটে না। কিন্তু সত্যি কি সাধারণ মানুষ এই হানাহানি চান? চান কি, চিরন্তন সহাবস্থানের পালা চুকিয়ে দিতে? বোধহয় নয়। কিছু কিছু সম্প্রীতির ছবি এসে প্রমাণ করে দেয়, হানাহানির চিত্র সার্বিক নয়। বিক্ষিপ্তই। সেরকমই এক ছবি দেখা গেল মুম্বইয়ে। ঘটনা গণেশমূর্তি নগরের। দেখা গেল, পিছনে আছেন গণপতি। আর সে মূর্তির সামনেই ইদের নমাজ সারছেন বহু ইসলাম ধর্মাবলম্বীরা। নাহ, কোথাও কোনও বিদ্বেষ নেই। সহাবস্থানে কোনও সমস্যা নেই। এই তো ভারতবর্ষের ছবি। মুম্বই পুলিশের পক্ষ থেকে এ ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করে জানানো হয়েছে, এ ছবি যত কথা বলে দেয়, তার থেকে বেশি কিছু বলার প্রয়োজন আছে কি? সত্যিই বোধহয় প্রয়োজন পড়ে না।
বহু বিদ্বেষের উসকানি সত্ত্বেও এই ধরনের কিছু ছবিই বোধহয় ভরসা জোগায়। পশ্চিমবঙ্গে এক হিন্দু মহিলার দাহকার্যে হাজির হয়েছিলেন তাঁর মুসলিম ভাই। জানিয়ে দিয়েছিল, ধর্ম আরোপিত। বাহ্যিক। আসলে তো সকলেই মানুষ। মানুষ হয়ে মানুষের পাশে দাঁড়ানোর সে বার্তাই যেন আরও একবার ছড়িয়ে গেল এ ছবিতে।
[ শিখদের গুরুদ্বারে ইদের নমাজ পড়লেন মুসলিমরা ]
The post একেই বলে সম্প্রীতি, গণপতিকে সাক্ষী রেখেই নমাজে মুসলিমরা appeared first on Sangbad Pratidin.