সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: লাদাখ সীমান্তে থাবা বসাচ্ছে চিন (China)। কাশ্মীর উপত্যকায় ক্রমাগত উসকানি দিয়ে চলেছে পাকিস্তান। উদ্বেগ বাড়িয়ে আফগানিস্তানে ক্ষমতা দখলের কাছাকাছি পৌঁছে গিয়েছে তালিবান। এহেন পরিস্থিতিতে দেশের প্রতিরক্ষার কথা মাথায় রেখে কেন্দ্রীয় সরকারের পেশ করা ‘The Essential Defence Services Bill, 2021’ পাশ করল লোকসভা।
[আরও পড়ুন: ফের বাড়ছে Covid সংক্রমণ, সমস্ত বাসিন্দার করোনা পরীক্ষার নির্দেশ Wuhan প্রশাসনের]
কী এই বিল? এর ফলে কীভাবে মজবুত হবে দেশের প্রতিরক্ষা বিভাগ?
মঙ্গলবার লোকসভায় ‘জরুরি প্রতিরক্ষা পরিষেবা বিল, ২০২১’ পেশ করেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং। এর মাধ্যমে প্রতিরক্ষা সংক্রান্ত প্রয়োজনীয় পরিষেবা যাতে নিরবচ্ছিন্ন ভাবে দেশে বহাল থাকে সেটাকেই সুনিশ্চিত করার জন্য এই বিল আনা হয়। উদাহরণস্বরূপ, আমাদের দেশে সরকারের ৪১টি অর্ডন্যান্স ফ্যাক্টরি বা অস্ত্র তৈরির কারখানা রয়েছে। সেখানে কাজ করেন প্রায় ৭০ হাজার কর্মী। আন্তর্জাতিক মঞ্চে দ্রুত পালটাতে থাকা পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে সেখানে লাগাতার হাতিয়ার তৈরি হওয়া চাই। কোনওভাবেই যাতে অস্ত্র উৎপাদনে ছেদ না পড়ে সেই কথা নিশ্চিত করতেই এই নয়া আইন আনার তোড়জোড় চলছে। অর্থাৎ অর্ডন্যান্স ফ্যাক্টরিগুলির কর্মীরা যাতে কোনওভাবেই ধর্মঘট বা কর্মবিরতিতে যেতে না পারেন বিলটি আইনে পরিবর্তিত হলে সেটা নিশ্চিত করা যাবে।
বিলটি আইনে পরিবর্তিত হলে কী ক্ষমতা আসবে সরকারের হাতে? এর প্রয়োজন কী?
‘The Essential Defence Services Bill, 2021’ পাশ হলে তালিকাভুক্ত বেশ কয়েকটি পরিষেবাকে জরুরি প্রতিরক্ষা পরিষেবা হিসেব ঘোষণা করতে পারবে সরকার। এর ফলে প্রতিরক্ষা সংক্রান্ত কারকখানা বা সংস্থাগুলিতে লকআউট, ধর্মঘট, কর্মবিরতি নিষিদ্ধ করতে পারবে কেন্দ্র। সরকার মনে করছে লাগাতার প্রতিরক্ষা পরিষেবা প্রদান করতে গেলে এই আইনের প্রয়োজনীয়তা রয়েছে। গত জুন মাসে দেশীয় প্রযুক্তিতে হাতিয়ার তৈরি করার পদ্ধতি আরও মসৃণ করে তুলতে ও লালফিতের জট কাটাতে ‘অর্ডন্যান্স ফ্যাক্টরি বোর্ড’ গঠন করে মোদি সরকার। সরাসরি প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের অধীনে কাজ করবে ‘অর্ডন্যান্স ফ্যাক্টরি বোর্ড’। বোর্ডের অধীনে থাকছে ৭টি সরকারি সংস্থা বা ‘কর্পোরেট এনটিটি’। যেগুলির আওতায় চলে আসবে দেশের ৪১টি অস্ত্র কারখানা। ফলে বিপুল সংখ্যক কর্মী ও শ্রমিক ইউনিয়নগুলির উপর রাশ টানার প্রয়োজনীয়তা রয়েছে বলেই মনে করছেন সাউথ ব্লকের অনেকে। তবে বিরোধীদের অভিযোগ, নয়া আইন এনে বিক্ষোভ দমনের নামে শ্রমিকদের সাংবিধানিক ও গণতান্ত্রিক অধিকার কেড়ে নেওয়ার চেষ্টা করছে মোদি সরকার।