সুকুমার সরকার, ঢাকা: স্বামীকে হারিয়েছিলেন মাত্র দশ দিন আগেই। পাঁচ সন্তানের মুখ চেয়ে শোক সামলে ফের বাঁচার স্বপ্ন দেখছিলেন। আচমকা দুর্ঘটনায় স্বপ্নভঙ্গ। নিয়তির নির্মম পরিহাসে স্বামীর মৃত্যুর মাত্র দশদিনের ব্যবধানে পাঁচ ছেলের শ্রাদ্ধের কাজ সারতে হল সদ্য বিধবা মাকে।
গত ৩০ জানুয়ারি কক্সবাজারের চকরিয়া উপজেলার ডুলাহাজারা ইউনিয়নের মালুমঘাট মেমোরিয়াল খ্রিষ্টান হাসপাতালের পাশের গ্রাম হাসিনাপাড়ার বাসিন্দা সুরেশ চন্দ্রের মৃত্যু হয়। ৮ ফেব্রুয়ারি ভোরে তাঁর শ্রাদ্ধানুষ্ঠানে ব্যস্ত ছিলেন নয় সন্তান। সেই সময় চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের মালুমঘাট এলাকায় রাস্তার পাশে দাঁড়িয়েছিলেন তাঁরা। সেই সময় ট্রাকের ধাক্কায় সুরেশবাবুর পাঁচ ছেলের মৃত্যু হয়। জখম হন সুরেশ চন্দ্রের আরও দুই ছেলে ও এক মেয়ে। আহত রক্তিম শীল চট্টগ্রামের একটি বেসরকারি হাসপাতালের আইসিইউতে ভরতি। নিহতদের বোন হীরা শীল মালুমঘাট খ্রিষ্টান হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। তবে তাঁর একটি পা বাদ গিয়েছে। দুর্ঘটনার সময় নিহতদের ছোট বোন ভাগ্যক্রমে বেঁচে যান।
[আরও পড়ুন: দেশের দৈনিক করোনা সংক্রমণ নামল ৫০ হাজারের নিচে, ভোটপ্রচারে আরও ছাড় কমিশনের]
সুরেশবাবুর মেয়ে মুন্নি সুশীল যদিও এটিকে দুর্ঘটনা বলে মানতে নারাজ। তিনি বলেন, “এটা পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড। চালক ইচ্ছাকৃতভাবে তাঁদের চাপা দিয়েছেন। ঘটনার পর চারদিন পার হয়ে গিয়েছে। পুলিশ এখনও ঘাতক ট্রাকচালককে আটক করতে পারেনি।”
এদিকে, শুক্রবার সকাল থেকে প্রয়াত সুরেশবাবুর বাড়িতে আত্মীয়স্বজনের ভিড়। বাড়িতেই পাঁচ ভাইয়ের শ্রাদ্ধানুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। সন্তানদের শ্রাদ্ধের যাবতীয় আচার অনুষ্ঠান পালন করেন প্রয়াত সুরেশবাবুর স্ত্রী। স্বামী এবং সন্তানদের হারিয়ে শোকস্তব্ধ তিনি।