সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: শ্রীনগরের আকাশে আর দেখা যাবে না পৃথক পতাকা। জম্মু ও কাশ্মীর সচিবালয় থেকে রাজ্যের জন্য স্বীকৃত যে পৃথক পতাকা ছিল, তা সরিয়ে ফেলা হল। আগে জাতীয় পতাকার পাশাপাশি পৃথক রাজ্যের পতাকাও উড়ত সচিবালয়ে। অনুচ্ছেদ ৩৭০ বাতিল হওয়ার পরই কাশ্মীরের পৃথক পতাকার স্বীকৃতিও বাতিল হয়ে যায়। স্বীকৃত হয় ‘এক দেশ-এক পতাকা’র দাবি।
[আরও পড়ুন: কাশ্মীরে খর্ব নাগরিক অধিকার! প্রতিবাদে পদত্যাগ আইএএস অফিসারের]
৩৭০ ধারা বিলোপের আগে পর্যন্ত পৃথক সরকারি পতাকা ব্যবহারের অনুমতি পেত জম্মু ও কাশ্মীর। রাজ্যের সরকারি কাজ, সরকারি অফিসে বা কোনও সরকারি অনুষ্ঠানে তেরঙ্গার পাশে ঠাঁই পেত লাল রঙের কাশ্মীরের পতাকাও। কিন্তু, গত ৫ আগস্ট মোদি সরকারের সুপারিশে রাষ্ট্রপতি ৩৭০ ধারা বাতিল করার পরই, সেই পৃথক পতাকা ব্যবহারের সুবিধা হারিয়ে ফেলে উপত্যকা। এ বছর স্বাধীনতা দিবসেও শুধুমাত্র তেরঙ্গা পতাকা উত্তোলন করা হয় শ্রীনগরের শের-ই-কাশ্মীর স্টেডিয়ামে। কিন্তু, সরকারি অফিসগুলি থেকে এখনও সরানো হয়নি কাশ্মীরের পৃথক পতাকা। এমনকী, সচিবালয়েও এতদিন পর্যন্ত পৃথক পতাকা উড়ছিল বলে স্থানীয় সূত্রের খবর।
অবশেষে রবিবার সেই পতাকা সরানো হয়েছে। তবে, এখনও কিছু কিছু সরকারি অফিসে পৃথক পতাকা রয়ে গিয়েছে। এখানেই উঠছে প্রশ্ন, ৩৭০ ধারা বিলোপ হওয়ার পরই আলাদা পতাকা সরিয়ে ফেলার কথা ছিল। কিন্তু, এতদিন কেন সরানো হয়নি? এ প্রশ্নের কোনও সদুত্তর নেই কাশ্মীরের আধিকারিকদের কাছে। তাদের জবাব, ৩১ অক্টোবর জম্মু ও কাশ্মীর রাজ্যের এলাকা পুনর্বিন্যাসের পর পুরনো পতাকা সরানো হবে বলে তাদের ধারণা ছিল। বস্তুত, ৩৭০ ধারা চালু হওয়ার পর সঙ্গে সঙ্গেই পতাকাগুলি সরিয়ে ফেলা উচিত ছিল। তবু, এতদিন অজ্ঞাত কোনও কারণে তা করা হয়নি।
[আরও পড়ুন: ছিলেন বিজেপির ক্রাইসিস ম্যানেজার, নিজেকে প্রণবের ‘ফ্যান’ বলতেন অরুণ জেটলি]
এদিকে, কাশ্মীরের নিষেধাজ্ঞা আরও শিথিল করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে প্রশাসন। রবিবার থেকে আরও বেশ কিছু জায়গায় মোবাইল পরিষেবা চালু করা হয়েছে। এই মুহূর্তে কমবেশি গোটা উপত্যকাটাই মোবাইল পরিষেবার আওতায় চলে এসেছে বলে খবর।
The post অবশেষে কাশ্মীরের সচিবালয় থেকে সরল পৃথক পতাকা, উড়ছে তেরঙ্গা appeared first on Sangbad Pratidin.