সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মা হতে চাওয়া বা না চাওয়া নিয়ে কোনও মহিলার সিদ্ধান্তের অধিকারের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা যাবে না। মহিলা মা হতে চান কি চান না তা ঠিক করার পূর্ণ অধিকার তাঁর আছে। ২৩ বছরের এক কলেজ ছাত্রীর গর্ভাবস্থার ২৭ সপ্তাহে গর্ভপাতের আর্জির প্রেক্ষিতে এমনই রায় দিল কেরল হাই কোর্ট (Kerala High Court)।
ডাক্তারি মতে গর্ভপাত আইন অনুযায়ী, গর্ভাবস্থার ২৭ সপ্তাহে গর্ভপাত (Abortion) করা যায় না। এই সময়ে গর্ভপাত করানো মেয়েটির স্বাস্থ্যের পক্ষে হানিকর বলে জানিয়েছে কোর্টের গঠন করা একটি মেডিক্যাল বোর্ডও। কিন্তু তা সত্ত্বেও এমবিএ পড়ুয়া ছাত্রীটি জানিয়েছেন, এই সময় তিনি পড়াশোনা করতে চান। তাই ঝুঁকি নিতে রাজি। এর পরেই কেরল হাই কোর্টের বিচারপতি ভি জি অরুণ তাঁকে গর্ভপাতের অনুমতি দিয়েছেন।
[আরও পড়ুন: ‘জনগণমন’র সমান মর্যাদা প্রাপ্য ‘বন্দেমাতরম’ গানটিরও! আদালতে জানাল কেন্দ্র]
মেয়েটির দাবি অনুযায়ী, সহপাঠীর সঙ্গে সহবাসের সময় গর্ভনিরোধক ব্যবহার করা সত্ত্বেও অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়েছেন তিনি। গর্ভনিরোধের ব্যর্থতার জন্য তিনি এখন মা হতে রাজি নন। ছাত্রীটির কথায়, গত ২৫ অক্টোবর তিনি প্রথম জানতে পারেন অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার কথা। পলিসিস্টিক ওভারির সমস্যার জন্য অনিয়মিত ঋতুস্রাবের কারণে ডাক্তার তাঁকে আল্ট্রাসাউন্ড পরীক্ষা করতে বললে সন্তানধারণের বিষয়টি জানাজানি হয়। এরপরই আদালতের দ্বারস্থ হন তরুণী। অবশেষে এই রায় দিল উচ্চ আদালত।
বিচারপতি তাঁর রায়দানের সময় বলেন, ”কোনও মহিলার মা হতে চাওয়া বা না হতে চাওয়ার সিদ্ধান্তের উপরে কোনও বিধিনিষেধ চাপানো যায় না।” এই প্রসঙ্গে সুপ্রিম কোর্টে এর আগে দায়ের হওয়া এক মামলার প্রসঙ্গও উত্থাপন করেন তিনি। সেই সঙ্গে তিনি জানিয়ে দেন এটা ভারতীয় সংবিধানের ২১ নম্বর ধারায় বর্ণিত ব্যক্তিস্বাধীনতার অধিকারকেই ব্যক্ত করে।