স্টাফ রিপে্ার্টার: বিধানসভা নির্বাচনের আগে রাজ্য প্রশাসনে একাধিক রদবদল করা হল। বদলি হল রাজ্য নির্বাচন কমিশনে। বদল হয়েছে রাজ্যের হাসপাতালগুলির প্রশাসনিক পদেও। তাৎপর্যপূর্ণভাবে রাজ্যপালের অ্যাডিশনাল চিফ সেক্রেটারি হলেন কৃষি দপ্তরের অ্যাডিশনাল চিফ সেক্রেটারি সুনীল কুমার গুপ্তা। নির্বাচনীবিধি কার্যকর হওয়ার আগে এই রদবদল বেশ গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।
নবান্নের নয়া বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, মালদা ডিভিশনের কমিশনার সৈয়দ আহমেদ বাবা হলেন রাজ্য ভ্যালুয়েশন বোর্ডের চেয়ারম্যান। ওঙ্কার সিং মিনা আবাসন দপ্তরের সচিবের পাশাপাশি কৃষি দপ্তরের সচিব হিসাবেও কাজ করবেন। হেল্থ অ্যান্ড ফ্যামিলি ওয়েলফেয়ার দপ্তরের অ্যাডিশনাল সেক্রেটারি হলেন হুগলির ডিএম ওয়াই রত্নাকর রাও। কমার্শিয়াল ট্যাক্স কমিশনার, বিশ্ব বাংলা মার্কেটিং কর্পোরেশনের এমডি দেবীপ্রসাদ কারানাম হলেন বীরভূমের ডিএম। দু’টি ক্ষেত্রে আগের দায়িত্ব পরিবর্তনের নির্দেশ বাতিল করা হয়েছে। দক্ষিণ দিনাজপুরের ডিএম নিখিল নির্মলকে আগের নির্দেশ বাতিল করে ওই পদেই রাখা হয়েছে। দীপপ্রিয়া পি–কে আগের নির্দেশ বাতিল করে হুগলির ডিএম করা হয়েছে।
[আরও পড়ুন : বেসরকারি হাসপাতাল ও নার্সিংহোমের দাবি মানল সরকার, স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্পে বড়সড় বদল]
কোভিড আবহে উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজের কাজ নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেছিল রাজ্য সরকার। উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতাল করোনা যুদ্ধে প্রথম অবস্থায় সঠিকভাবে হাল ধরতে পারেনি বলে অকপটে স্বীকার করেছিলেন বিশেষজ্ঞ কমিটির প্রধান চিকিৎসক। নতুন নির্দেশিকায় উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজের সুপার ডা. কৌশিক সমাজদারকে রায়গঞ্জ মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষ হিসেবে নিযুক্ত করা হল। পাশাপাশি উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষের দায়িত্ব নিতে চলেছেন ডা. ইন্দ্রজিৎ সাহা। ইন্দ্রজিৎবাবু বর্তমানে বাঁকুড়া সম্মিলনী মেডিক্যাল কলেজের কমিউনিটি মেডিসিনের প্রফেসর। রায়গঞ্জ মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষ ডা. দিলীপ কুমার পাল বিসি রায় শিশু হাসপাতালের অধ্যক্ষর পদে স্থানান্তরিত হচ্ছেন। নীলরতন সরকার মেডিক্যাল কলেজের সুপার করবী বড়ালকে রামপুরহাট মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষ পদে নিয়োগ করা হল। মালদহ মেডিক্যাল কলেজের সুপার ডা. অমিত দাঁকে মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষ হিসেবে স্থানান্তরিত করা হয়েছে।
[আরও পড়ুন : আচমকা শরীরে দেখা দিল ‘লেজ’! NRS হাসপাতালে জটিল অস্ত্রোপচারে সুস্থ বাঁকুড়ার বধূ]
সম্প্রতি রাজ্যের মুখ্য নির্বাচন আধিকারিক দপ্তরে বড়সড় বদলি করেছিল নির্বাচন কমিশন। সরিয়ে দেওয়া হয়েছিল দীর্ঘদিন দায়িত্বে থাকা ৩ আধিকারিক অতিরিক্ত সিইও শৈবাল বর্মণ, যুগ্ম সিইও অনামিকা মজুমদার এবং উপ সিইও অমিতজ্যোতি ভট্টাচার্যকে। এরপর ওই পদ পূরণের জন্য নবান্নকে নাম সুপারিশ করতে বলা হয়। কমিশনের নির্দেশ মতো দিল্লিতে মোট ৯ আধিকারিকের নাম পাঠানো হয়েছিল। কিন্তু সেই তালিকা থেকে মাত্র একজন আধিকারিক তথা যুগ্ম সিইও হিসাবে অরিন্দম নিয়োগীকে বেছে নিল কমিশন। বাকি দুটি পদের জন্য বিজিতকুমার ধর এবং সৌরভ বারিককে কমিশন নিজেই বাছাই করেছে বলে খবর। অতিরিক্ত সিইও হিসাবে শৈবাল বর্মনের জায়গায় বিজিত কুমার ধরকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। শৈবাল বর্মন কে অর্থ দপ্তরের অতিরিক্ত সচিব পদে নিয়োগ করা হয়েছে। অনামিকা মজুমদারের জায়গায় যুগ্ম সিইও হিসাবে দায়িত্ব পেয়েছেন অরিন্দম নিয়োগী। অনামিকা মজুমদারকে পঞ্চায়েত দপ্তরের যুগ্মসচিব পদে নিয়োগ করা হয়েছে। অমিত জ্যোতি ভট্টাচার্যের জায়গায় উপ সিইও পদের দায়িত্বভার নিচ্ছেন সৌরভ বারিক। তিনি স্বাস্থ্য দপ্তরে উপসচিব ছিলেন। অমিত জ্যোতি ভট্টাচার্য্যকে মুখ্যমন্ত্রী সচিবালয়ের গ্রিভান্স সেল এর উপসচিব পদে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।