ভাস্কর মুখোপাধ্যায়, বোলপুর: বোলপুরকে (Bolpur) আগামিদিনে শিক্ষা-সংস্কৃতির কেন্দ্র হিসাবে পরিণত করতে চান বোলপুর কেন্দ্রের বিজেপি (BJP) প্রার্থী অনির্বাণ গঙ্গোপাধ্যায়। বিশ্বভারতীর (Visva-Bharati) যে সমস্যা রয়েছে তাও আলোচনার মাধ্যমে এবং বোলপুরের মানুষের স্বার্থ যাতে সুরক্ষিত থাকে তার ব্যবস্থা করতে উদ্যোগ নেওয়া হবে বলেও জানালেন অনির্বাণবাবু। একই সঙ্গে তিনি পৌষমেলা আয়োজন করার পক্ষেও মত প্রকাশ করেন।
এদিন বিজেপি প্রার্থী অনির্বাণ গঙ্গোপাধ্যায়কে বোলপুর এবং ইলামবাজারের বিজেপি পার্টি অফিসে সংবর্ধনা দেওয়া হয়। পরে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, “বোলপুরের সঙ্গে আমার যোগাযোগ আট দশকের, তাই আমি এখানে নতুন নয়। দীর্ঘ দিন ধরে আমি শান্তিনিকেতনে আসছি। এখানকার বহু মানুষ আমার পরিচিত। আমি বোলপুর বিধানসভার প্রতিটি মানুষের প্রতিনিধি। আমি নিশ্চিত এই আসনে বিজেপি জিতবে।” এরপরই তিনি বলেন, “আমাকে উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তীর ঘনিষ্ঠ বলেছেন এখানকার এক মন্ত্রী। কিন্তু তিনি জানেন না, আমি বিশ্বভারতী কোর্টের সদস্য হয়েছিলাম স্বপন দত্ত উপাচার্য থাকার সময়। আর সেই স্বপন দত্তকে তৃণমূলের সরকার বিশ্ববাংলা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য করেছে।”
[আরও পড়ুন: উদ্বেগ বাড়িয়ে একটানা ঊর্ধ্বমুখী রাজ্যের কোভিড গ্রাফ, একদিনে সংক্রমিত ৩৮৩]
তাঁর অভিযোগ, “কেন্দ্রের নরেন্দ্র মোদি সরকার মেধা, শিক্ষাগত যোগ্যতা এবং কর্মদক্ষতার উপর নিয়োগ করে। কারও ভাইপো হলে নিয়োগ হয় না।’’ এর মধ্যেই বিশ্বভারতীর উপাচার্যের একটি মন্তব্যে বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছে। সেসম্পর্কে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে অনির্বাণবাবু বলেন, “বিশ্বভারতীর উপাচার্য যদি একথা বলে থাকেন, তা খুব দুঃখজনক। উপাচার্য হিসাবে ওঁকে অনেক সহনশীল হতে হবে। বিশ্বভারতী নিয়ে কেন্দ্র এবং রাজ্যের কোনও সংঘাত নেই। প্রধানমন্ত্রী বলেছেন বোলপুরকে আত্মনির্ভর ভারতের একটি কেন্দ্র করতে চান। কারণ স্বদেশি সমাজে গুরুদেব আত্মশক্তির কথা বলেছেন। বোলপুরে আগামী দিনে শিক্ষা, সংস্কৃতি কেন্দ্র হিসাবে পরিণত করতে চাই। বিশ্বভারতীর যে সমস্যা রয়েছে, তা আলোচনার মাধ্যমে এবং বোলপুরের মানুষের স্বার্থ যাতে সুরক্ষিত থাকে তার ব্যবস্থা করতে হবে।”
[আরও পড়ুন: বামেদের বরাদ্দ আসনেও প্রার্থী, নয়া তালিকা প্রকাশ করে জোট ভাঙার বার্তা কংগ্রেসের]
পৌষমেলা নিয়ে বিতর্ক দেখা গিয়েছে। এই বিষয়ে তিনি বলেন, “বলছি পৌষমেলা হবে এবং মেলা হওয়া উচিত। এই মেলাকে ইউনেসকোর হেরিটেজ ট্যাগ যাতে দেওয়া যায় তার ব্যবস্থা করতে হবে। যাতে সারা পৃথিবীর মানুষ আসে এই মেলা দেখতে।”