রূপায়ণ গঙ্গোপাধ্যায়: হাজারও প্রচার, প্রতিশ্রুতি সত্ত্বেও একুশের বঙ্গভোটে (WB Assembly Election) ক্ষমতা দখল দূরে থাক, প্রত্যাশিত ফলাফলই হয়নি বিজেপির (BJP)। এই বিপর্যয়ের কারণ খুঁজতে আগেই বিশ্লেষণ শুরু হয়েছিল। এবার সেই কাজে নামল খোদ ‘টিম অমিত শাহ’। সূত্রের খবর, বিভিন্ন সমীক্ষা থেকে যা উঠে আসছে, তা যথেষ্ট চিন্তার তো বটেই। এমনকী নির্বাচন পরবর্তী সময়েও এ রাজ্যে বিজেপির সংগঠন নিয়ে বেশ অনিশ্চয়তার বাতাবরণ রয়েছে। ভোটে জিতে যাঁরা বিধায়ক হয়েছেন, গেরুয়া শিবির ত্যাগ করতে পারেন তাঁদের অনেকেই। এই সমীক্ষার পর চিন্তার ভাঁজ চওড়া হয়েছে অমিত শাহদের (Amit Shah)কপালে।
সূত্রের খবর, ১২৮ পাতার একটি রিপোর্টে বিজেপির হারের কারণ হিসেবে অনেক কিছুই উল্লেখ করা রয়েছে। প্রথমত, দলবদল করে যাঁরা বিজেপিতে এসেছেন, তাঁদের অনেকেরই ভাবমূর্তি ভাল না। দুর্নীতির অভিযোগ রয়েছে তাঁদের বিরুদ্ধে। এঁদের অধিকাংশেরও কোনও জনসমর্থন নেই। ফলে ভোটযুদ্ধে তাঁরা জিততে পারেননি। এই নেতারা অনেকেই তৃণমূলে ফিরে যেতে পারেন বলেও মত সমীক্ষার। শুধু তাই নয়, জেলা বিজেপির বহু নেতার বিলাসবহুল জীবনযাপন, দম্ভ মানুষ ভালভাবে গ্রহণ করেনি। দ্বিতীয়ত, দলবদলকারী বিজেপি সদস্যদের প্রভাব এবার বেশি ছিল। তাই আদর্শগত দ্বন্দ্বের জেরে নির্বাচন নিয়ে তেমন সক্রিয় হয়নি আরএসএস। নির্বাচনী তহবিল ঠিকমতো ব্যবহার করা হয়নি, এই গলদের কথাও উঠে এসেছে সমীক্ষার রিপোর্টে।
[আরও পড়ুন: ‘চ্যাপ্টার ক্লোজড, আর কোনও প্রশ্ন নয়’, আলাপন ইস্যুতে ইতি টেনে মন্তব্য মমতার]
আরও বেশ কয়েকটি কারণ দেখানো হয়েছে বিজেপির হারের নেপথ্যে। রিপোর্ট বলছে, নেতাদের হুঙ্কার সংখ্যালঘুদের মধ্যে ভয় ধরিয়েছে। ‘জয় শ্রীরাম’ ধ্বনি ব্যাকফুটে নিয়ে গিয়েছে বিজেপিকে। কারণ, বাংলায় রামের পূজোর সেভাবে প্রচলন নেই। অন্য রাজ্যের নেতাদের ভাষা শহর ও গ্রামের মানুষজন বোঝেননি। অনেক বিজেপি নেতাই ক্ষমতায় না এসে ক্ষমতার দম্ভ দেখাতে শুরু করেছেন, মানুষের মনে ভয় ধরিয়ে দিয়েছে। ভাষাগত সমস্যা বড় প্রতিবন্ধকতা হয়েছে।মানুষ মনে করেছেন, বিজেপি মানেই অবাঙালি নেতাদের ভিড়। এমনই নানাবিধ কারণ দেখে চিন্তিত বিজেপি শীর্ষ নেতৃত্ব।