সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বছরঘুরে ফের চলে এল নীল ষষ্ঠী (Nil Shasthi)। চৈত্রসংক্রান্তির আগের দিন পালন করা হয় নীল ষষ্ঠী। সাধারণত সন্তানের মায়েরাই এই পুজো করে থাকেন। মহাদেব শিবকে পুজো দিয়ে সন্তানদের সুখ-শান্তি প্রার্থনা করে থাকেন মায়েরা। এবার ১৩ এপ্রিল, ৩০ চৈত্র মঙ্গলবার পালিত হবে নীল ষষ্ঠী। সারাদিন উপোস থেকে সন্ধেয় শিবের মাথায় জল ঢালতে হয়। কিন্তু এই পুজোর নেপথ্য কাহিনি কী? এই দিনটিতে কোন কোন নিয়ম পালন করা উচিত? চলুন জেনে নেওয়া যাক।
কথিত আছে, পুরাকালে এক বামুন ও বামুনী সমস্ত বার-ব্রত পালন করতেন। কিন্তু তা সত্ত্বেও তাঁদের সন্তান জন্মানোর পর বেশিদিন বাঁচত না। একদিন কাশীতে গঙ্গাস্নান করে ঘাটে বসে কাঁদতে থাকেন তাঁরা। যা দেখে বৃদ্ধা বামনীর বেশ ধরে মা ষষ্ঠী আবির্ভূত হন। জিজ্ঞেস করেন, “তোরা কাঁদছিস কেন?” দু’জনে নিজেদের দুঃখের কথা জানান। মা ষষ্ঠী ফের জানতে চান, “তোরা কি নীল ষষ্ঠী করেছিস?” বামনী জিজ্ঞেস করেন, “এটি কোন ব্রত?” তখনই মা ষষ্ঠী বলেন, সমস্ত চৈত্র মাস সন্ন্যাস ধর্ম পালন করে শিব পুজো করতে হবে। এরপর সংক্রান্তির আগের দিন উপোস থেকে সন্ধেয় নীলাবতীর পুজো দিয়ে নীলকণ্ঠ শিবের ঘরে বাতি জ্বালাতে হবে। মা ষষ্ঠীকে প্রণাম করার পর উপোস ভঙ্গ করতে হবে। সন্তানের দীর্ঘ জীবনের জন্যই নীল ষষ্ঠী করতে হয়। মা ষষ্ঠীর কথা মতো নীল ষষ্ঠী করে ভাগ্য ফেরে বামুন-বামনীর। সন্তানরা দীর্ঘ জীবন পায়। সই থেকেই এই পুজোর প্রচলন শুরু।
[আরও পড়ুন: এপ্রিলে বাংলা নববর্ষ ছাড়াও রয়েছে একাধিক উৎসব, জেনে নিন কী কী]
এবার জেনে নেওয়া যাক এই পুজোর ক্ষেত্রে কী কী নিয়ম পালন করতে হয়।
১. নীল ষষ্ঠীর দিন শিবের মাথায় জল ঢালার পর বেলপাতা, ফুল ও একটি ফল ছুঁয়ে রাখতে হয়। এরপর আকন্দ বা অপরাজিতার ফুল অর্পণ করতে হবে।
২. পুজোর সময় সন্তানের নামে অবশ্যই মোমবাতি জ্বালাতে হবে।
৩. উপোস ভাঙার পর ভাত কিংবা আটার তৈরি খাবার খেতে নেই। ফল, সাবু বা ময়দার তৈরি খাবার খান। অনেকে এদিন সন্দক লবণ খেয়ে থাকেন। যে নিয়ম মানা অত্যন্ত শুভ।