সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: করোনা আবহে এখনও তথৈবচ পর্যটন শিল্প। বহু জায়গায় নতুন করে শুরু হয়েছে লকডাউন (Lockdown)। তবে ভাইরাস দূর হলেই ভ্রমণপিপাসুরা ফের একবার হয়তো বেরিয়ে পড়বেন বিদেশ বিভুঁইয়ে। নতুন দেশ, নতুন নতুন জায়গা ঘুরে দেখবেন। কেউ হয়তো বিদেশে নিজের পছন্দের জায়গায় যাবেন। সেক্ষেত্রে বিমানই যাতায়াতের প্রধান ভরসা।
কিন্তু জানেন কি, বিশ্বে এমন পাঁচটি দেশ আছে, যেখানে নেই কোনও বিমানবন্দর! শুনতে অবাক লাগলেও এটাই সত্যি। ওই দেশগুলোতে বিমান ওঠানামার কোনও সুযোগ নেই। কারণ অবশ্যই সেই দেশগুলোর আয়তন। এই প্রতিবেদনে জেনে নিন সেই দেশগুলো সম্পর্কে।
[আরও পড়ুন: শীতের মরশুমে প্রথমবার সুন্দরবনে রয়্যাল দর্শন, উচ্ছ্বসিত পর্যটকরা]
১। মোনাকো (Monaco): পশ্চিম ইউরোপের ছোট এই দেশটি ফ্রান্স এবং ইতালির মাঝে অবস্থিত। এটি বিশ্বের দ্বিতীয় ক্ষুদ্রতম দেশ। এটির সীমানা কেবল ৬ কিলোমিটার। বাস করেন মাত্র ৪০ হাজার মানুষ। দেশে বসবাসকারীদের মধ্যে অনেকেই ধনী হলেও, এখানে একটিও বিমানবন্দর নেই। বিমানে যাতায়াতের একমাত্র ভরসা পার্শ্ববর্তী ফ্রান্সের নিস বিমানবন্দর। মূলত রেলই এখানকার মানুষের যাতায়াতের অন্যতম ভরসা।
২। অ্যান্ডোরা (Andorra): আকারে বিশ্বের ক্ষুদ্রতম দেশগুলোর তালিকায় ১৬ নম্বরে রয়েছে অ্যান্ডোরার নাম। সবমিলিয়ে বাস ৮৫ হাজার মানুষের। তিনটি ব্যক্তিগত হেলিপ্যাড থাকলেও গোটা দেশে কোনও বিমানবন্দর নেই। নিকটবর্তী বিমানবন্দর ১২ কিলোমিটার দূরে স্পেনে অবস্থিত। তা সত্ত্বেও প্রতিবছর প্রচুর মানুষ আসেন এখানে।
[আরও পড়ুন: খুলছে ভিক্টোরিয়া–সহ কলকাতার চারটি দর্শনীয় স্থান, জানেন কী কী নিয়ম মানতে হবে?]
৩। লিচেনস্টেইন (Liechtenstein): অস্ট্রিয়া এবং সুইৎজ্যারল্যান্ডের মধ্যে অবস্থিত ছোট্ট এই দেশটিতেও নেই কোনও বিমানবন্দর। গোটা দেশে বসবাস করেন মাত্র ৪০ হাজার মানুষ। একটি ব্যক্তিগত হেলিপ্যাড থাকলেও সাধারণ মানুষকে বিমানে যাতায়াত করতে ১২০ কিলোমিটার দূরে জুরিখ বিমানবন্দরে যেতে হয়। জায়গার অভাবেই এখানেও কোনও বিমানবন্দর তৈরি করা যায়নি। তবে এখানে প্রাচীন যুগের সভ্যতার অনেক নিদর্শনও পাওয়া যায়।
৪। সান মারিনো (San Marino): পৃথিবীর প্রাচীনতম দেশটি পুরোটাই ইতালি দ্বারা ঘেরা। না নিজস্ব কোনও বন্দর না এয়ারপোর্ট রয়েছে দেশটির। পরিসীমা কেবল ৪০ কিলোমিটার। যাতায়াতের জন্য সাধারণ মানুষকে নির্ভর করতে হয় ১৬ কিলোমিটার দূরের ইতালির রিমিনি বিমানবন্দরের উপর। এছাড়াও বোলোগনা, পিসা, ভেনিস শহরের বিমানবন্দরও এখান থেকে বেশি দূরে নয়।
৫। ভ্যাটিকান সিটি (Vatican City): বিশ্বের সবচেয়ে ক্ষুদ্রতম দেশ। মাত্র ৮০০ মানুষের বসবাস হলে কী হবে, প্রতি বছর প্রচুর মানুষ এখানে আসেন। আসলে এটি খ্রিষ্টানদের কাছে অন্যতম পবিত্র স্থান। এখানেই থাকেন পোপ ফ্রান্সিস। কিন্তু দেশটির নিজস্ব কোনও বিমানবন্দর নেই। আসলে ভ্যাটিকান রোমেরই মধ্যে অবস্থিত। তাই বিমানে যাতায়াতের জন্য পার্শ্ববর্তী বিমানবন্দরই ভরসা।