সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: এবার টুইট করে পরিযায়ী শ্রমিকদের পাশে দাঁড়ানোর বার্তা দিলেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড় (Jagdeep Dhankhar)। সংক্রমণের আতঙ্কে ভিনরাজ্য ফেরত শ্রমিকদের দূরে সরিয়ে রাখার প্রবণতা দুঃখজনক বলে মন্তব্য করেন তিনি। পাশাপাশি, এদিনের টুইটে ধনকড় আরও একবার মনে করিয়ে দেন যে, পেটের দায়েই ঘর ছাড়তে বাধ্য হয়েছিলেন এই শ্রমিকরা।
লকডাউনের শুরুতেই বিভিন্ন রাজ্যে আটকে পড়েছিলেন বহু পরিযায়ী শ্রমিক। প্রথমদিকে তাঁদের পক্ষে ঘরে ফেরা কার্যত অসম্ভব ছিল। তা সত্ত্বেও কেউ কেউ নিজের উদ্যোগে সাইকেলে, বাইকে বা কেউ আবার হাজার হাজার কিলোমিটার পায়ে হেঁটে ফিরেছেন প্রিয়জনদের কাছে। কিন্তু প্রথম থেকেই সাধারণ মানুষের মধ্যে ভয় ছিল ওই শ্রমিকরা ফিরলেই বাড়বে সংক্রমণ। এই পরিস্থিতির মধ্যেই ভিনরাজ্যে আটকে পড়া শ্রমিকদের ঘরে ফেরাতে উদ্যোগী হয় প্রশাসন। সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় যে, স্পেশ্যাল ট্রেনে ঘরে ফেরানো হবে শ্রমিকদের। তবে সংক্রমণ যাতে না ছড়ায় সেদিকে বিশেষ নজর দেওয়া হয় প্রশাসনের তরফে। কিন্তু তা সত্ত্বেও আশঙ্কা কার্যত সত্যি হয়েছে। পরিযায়ী শ্রমিকরা ঘরে ফিরতেই বাড়ছে সংক্রমণ। পরিযায়ী শ্রমিকদের জন্য একাধিক ব্যবস্থা নেওয়া সত্ত্বেও জেলায় প্রায় প্রতিদিনই আক্রান্তের বাড়ছে। যার জেরে অপ্রীতিকর পরিস্থিতির সম্মুখীনও হতে হচ্ছে শ্রমিকদের। এই পরিস্থিতিতে শুক্রবার সকালে একটি টুইট করে রাজ্যপাল বললেন, “পরিযায়ী শ্রমিকদের উষ্ণ আমন্ত্রণ প্রাপ্য”।
[আরও পড়ুন: করোনা পজিটিভ রাজ্যের মন্ত্রী সুজিত বসু, উদ্বিগ্ন শাসকদল তৃণমূল]
এদিন টুইটে তিনি আরও লেখেন, “পরিযায়ী শ্রমিকদের কোভিড সংক্রমনকারী হিসেবে দেগে দেওয়া অন্যায়, অত্যন্ত হতাশাব্যঞ্জক এবং হৃদয়বিদারক।” আরও একটি টুইটে মুখ্যমন্ত্রীকে উল্লেখ করে তিনি বলেন, “যে পরিযায়ী শ্রমিকরা রাজ্যে ফিরে আসছেন, তাঁরা আমাদের আপনজন। তাঁরা পেটের দায়ে রাজ্য ছাড়তে বাধ্য হয়েছিলেন। ওঁরা আমাদের সম্পদ, কেউ ফেল না নন। আমাদের ছেলেমেয়েরা প্রতিকূল পরিস্থিতিতে পড়ে নিজেদের ঘরে, আপনজনের কাছে ফিরতে চাইতেই পারেন।” প্রসঙ্গত, আগেও পরিযায়ী শ্রমিকদের ঘরে ফেরানোর সিদ্ধান্তের প্রশংসা করেছিলেন রাজ্যপাল।
[আরও পড়ুন: ১০০ দিনের কাজে বাড়তি গুরুত্ব পরিযায়ী শ্রমিকদের, শংসাপত্র দিলেই মিলবে জব কার্ড]
The post ‘সংক্রমণের আশঙ্কায় পরিযায়ী শ্রমিকদের দূরে সরানোর প্রবণতা দুঃখজনক’, টুইট রাজ্যপালের appeared first on Sangbad Pratidin.