সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কাতারের (Qatar World Cup) মাটিতে প্রকাশ্যে চুম্বন নিষিদ্ধ। নারী-পুরুষ যদি প্রকাশ্যে চুম্বন করেন, তাহলে কড়া শাস্তির মুখে পড়তে হবে ওই যুগলকে। এমনকি কাতার থেকে তাঁদের বেরও করে দেওয়া হতে পারে। এত সমস্যা মাথায় করেও ম্যাচের পরে চুম্বন করেন বেলজিয়ামের গোলকিপার থিবাও কুর্তোয়া (Thibaut Courtois) ও তাঁর বাগদত্তা। কানাডার (Canada vs Belgium) বিরুদ্ধে জয় উদযাপন করতেই গিয়েই আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েন দু’জনে। ঘনিষ্ঠ মুহূর্তের ছবি ভাইরাল হয়ে যায় নেট দুনিয়ায়। তবে বেলজিয়াম ভক্তদের মনে প্রশ্ন জাগছে, এর ফলে কি শাস্তির মুখে পড়তে হবে তারকা গোলকিপারকে?
ফেভারিট দল হয়েও কানাডার বিরুদ্ধে যথেষ্ট পরিশ্রম করে জিততে হয়েছে বেলজিয়ামকে। ম্যাচের ১০ মিনিটের মাথায় পেনাল্টি পেয়েছিল কানাডা। কিন্তু প্রাক্তন সতীর্থ আলফান্সো ডেভিসের শট সহজেই আটকে দেন কুর্তোয়া। তারপরে গোল লক্ষ্য করে একাধিক শট মারে কানাডা। কিন্তু সুপার ম্যানের মতোই সেই শটগুলি বাঁচান কুর্তোয়া। বিশেষজ্ঞদের মতে, গোলকিপারের কারণেই ম্যাচ থেকে তিন পয়েন্ট নিয়ে ফিরতে পেরেছে বেলজিয়াম। মিচি বাৎসুয়াইর গোলে কোনও মতে ম্যাচ জেতেন কেভিন দি ব্রুইনরা।
[আরও পড়ুন: ‘মেসির সঙ্গে যারা বাবার তুলনা করে, তারা ফুটবল দেখেও না, বোঝেও না’, বিস্ফোরক মারাদোনা-পুত্র]
ম্যাচের শুরুতেই থিবাওর পেনাল্টি বাঁচানোর ছবি তুলে নিজের ইনস্টাগ্রামে পোস্ট করেন মিশেল জার্জিগ। ক্যাপশনে লেখেন, “মাই কিং। তোমার জন্য কোনও প্রশংসাই যথেষ্ট নয়।” ম্যাচের পরেই সটান গ্যালারিতে উঠে পড়েন থিবাও। সেখান থেকেই হবু স্বামীর জন্য গলা ফাটাচ্ছিলেন মিশেল জার্জিগ। ম্যাচ জয়ের খুশিতে একে অপরকে জড়িয়ে ধরেন তাঁরা। তারপরেই গভীর চুম্বন। সকলের ক্যামেরায় ধরা পড়ে ভালবাসার এহেন সুন্দর মুহূর্ত।
গত দু’বছর ধরে সম্পর্কে রয়েছেন কুর্তোয়া ও মিশেল। স্প্যানিশ মডেল মিশেলের সঙ্গে চলতি বছরের জুন মাসেই বাগদান সেরে ফেলেছেন রিয়াল মাদ্রিদের গোলকিপার। লকডাউনের সময়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় দু’জনের আলাপ হয়। তারপর থেকেই দু’জনের সম্পর্ক আরও গভীর হয়ে ওঠে। চলতি বিশ্বকাপে বেলজিয়ামের প্রতিটি ম্যাচেই গ্যালারিতে উপস্থিত থাকবেন মিশেল এমনটাই জানা গিয়েছিল। তবে কুর্তোয়া একা নন, বুধবার ম্যাচের পরে প্রকাশ্যে স্ত্রীকে চুম্বন করেছেন কেভিন দি ব্রুইনও। কাতারের আইন অনুযায়ী এই দু’জনের শাস্তি হবে কিনা, তা নিয়ে বেশ চিন্তায় রয়েছেন বেলজিয়ামের সমর্থকরা। তবে এখনও পর্যন্ত কাতার প্রশাসনের তরফে এই ঘটনা নিয়ে কিছু জানানো হয়নি।