সুব্রত বিশ্বাস: করোনা মহামারীর শুরুর দিকে ভয়াবহ চাপ তৈরি হয়েছিল দেশের চিকিৎসা পরিকাঠামোয়। তখন পরিস্থিতি সামাল দিতে আইসোলেশন কোচ তৈরি করে ভারতীয় রেল। কিন্তু অতিমারীর প্রকোপ নিয়ন্ত্রণে আসার ফলে অব্যবহৃত আইসোলেশন কোচগুলি এখন একেবারে চোখের আড়ালে ইয়ার্ড অঞ্চলে পড়ে রয়েছে। ফলে চুরি যাচ্ছে কোচের বিভিন্ন সামগ্রী।
২০২০ সালে করোনা সংক্রমণের প্রথম ঢেউ আছড়ে পড়ার পর হাসপাতালে রোগীর ভিড় উপচে পড়েছিল। তখন পরিস্থিতি সামাল দিতে ৫ হাজার ৬০১টি কোচকে রূপান্তরিত করে রেল। আপৎকালীন পরিস্থিতিতে ব্যবহারের জন্য বড় স্টেশনের পাশাপাশি ছোট স্টেশনগুলিতেও রাখা হয়েছিল এই কোচ। কোভিড রোগীদের জন্য সেই অর্থে কাজে না লাগলেও ওই প্রকল্পে খরচ হয়েছিল পঞ্চাশ কোটি টাকারও বেশি। এখন অব্যবহৃত আইসোলেশন কোচগুলি চোখের আড়ালে ইয়ার্ড অঞ্চলে পড়ে রয়েছে। ফলে চুরি যাচ্ছে কোচের বিভিন্ন সামগ্রী। রেলবোর্ড কোচের পরিস্থিতি খতিয়ে দেখার নির্দেশ দিয়েছে সম্প্রতি। এরপরেই দেখা যাচ্ছে, কোচের অধিকাংশ সামগ্রী সাফ করে দিয়েছে চোররা।
[আরও পড়ুন: ২০২৫-এর মধ্যেই বিদায় নেবে মিগ-২১ যুদ্ধবিমান, আধুনিকীকরণের পথে বায়ুসেনা]
গত ২৩ তারিখে হাওড়া ডিভিশনের কাটোয়া ইয়ার্ডে পড়ে থাকা পুরো আইসোলেশন ট্রেনটি থেকে চুরি গিয়েছে ৩৭টি দামি ব্যাটারি। এই চুরির পরই জানা যায় কোচগুলির প্রতি রেলের বৈষম্যতা কতটা। হাওড়া ডিভিশনের আরপিএফ (সিআইবি) সন্দেহজনক দু’জনকে গ্রেপ্তার করলেও এখনও পর্যন্ত ব্যাটারি উদ্ধার করতে পারেনি। ট্রেনটির আর কী কী সামগ্রী চুরি গিয়েছে তা খতিয়ে দেখছে সিআইবি।
এরাজ্যে হাওড়া, শিয়ালদহে এমন অনেক কোচ এখনও অন্তরালে অবহেলায় পড়ে রয়েছে। অথচ আইসোলেশনে রূপান্তরে দশ লক্ষ টাকা কোচ প্রতি খরচ হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। এখন তা কোনও কাজেই লাগছে না। শিয়ালদহের ডিআরএম এসপি সিং বলেন, কুড়ি বছরের কম সময়ের কোচগুলিকে ফের সাধারণ কোচের জায়াগায় ফিরিয়ে আনা হয়েছে। তবে কুড়ি বছরের বেশি হয়ে যাওয়া কোচগুলিকে আর লাইনে ফেরানো হবে না, তা বাতিল ঘোষণা করে নিলামে বিক্রি করে দেওয়া হবে।