অর্ক দে, বর্ধমান: দেড়শো বছর আগে পূর্ব বর্ধমানের (Purba Bardhaman) তেজগঞ্জের দাস বাড়িতে শুরু হয়েছিল পুজো। জমিদারি না থাকলেও এখনও নিয়ম-নীতি মেনে চলছে পুজো। নিয়ম মেনে অষ্টমীতে হবে বলি। ইতিমধ্যেই দাস বাড়িতে শুরু হয়ে গিয়েছে পুজোর তোড়জোড়।
দাস পরিবারের পুজোর বিশেষত্ব হল সেখানে শিবদুর্গার পুজো হয়। ষষ্ঠীর দিন থেকে পুজো (Durga Puja 2021) শুরু হয়ে পাঁচ দিন তা চলে। ষষ্ঠীর দিন আনা হয় ঘট। সপ্তমীতে কলাবউ স্নান করিয়ে নিয়ে আসা হয় দামোদর নদের ঘাট থেকে। পুজোর পাঁচ দিনই চণ্ডী পাঠ করা হয়। অষ্টমীর দিন প্রথা মেনে পুজো ও বলির প্রথা চালু রয়েছে। তবে, কোনও পশু বলি নয়, দাস পরিবারে প্রথম থেকেই মণ্ডা বলির প্রচলন রয়েছে। একসময় বর্ধমান রাজ পরিবারের পৃষ্ঠপোষকতায় দাস বাড়ির এই পুজো মহাসমারোহে অনুষ্ঠিত হত।
[আরও পড়ুন:কৃষক স্পেশ্যাল ট্রেনের উদ্বোধন করে লোকাল চালানোর দাবি করলেন সাংসদ জগন্নাথ সরকার ]
সময় এগিয়েছে। জমিদারি প্রথার অবলুপ্তি ঘটেছে। বর্ধমান রাজ পরিবারও আর নেই। এই অবস্থায় পুজোর আয়োজনেও ঘাটতি দেখা দিয়েছে। আগে দাস পরিবারের এই পুজো দেখতে বহু দূর থেকে লোক আসতো। গত দু’বছর করোনার কারণে তাও হয় না। তবে জাঁকজমক না থাকলেও নিয়ম মেনে আজও পুজো হয়। রাজ আমলের পুজোর ধুমধামের কথা স্মৃতিচারণ করলেন পরিবারের সদস্যরা।
এই পরিবারের সদস্য শিবশংকর দাস বলেন, “বর্ধমান রাজ পরিবারের অধীনে আমাদের জমিদারি ছিল। আমার দাদুর সঙ্গে রাজ পরিবারের ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ ছিল। এমনও শুনেছি আমাদের বাড়ির তোসাখানাতে তৎকালীন বর্ধমানের মহারাজ বিজয়চাঁদ বেশ কয়েকবার এসেছেন। দাদুর সময় বাড়িতে দুর্গাপুজো শুরু হয়। এখনও পারিবারিকভাবেই সেই পুজো হয়ে আসছে।” তিনি জানান, পুজোর দু’মাস আগে থেকেই বাড়িতে মূর্তি গড়ার কাজ শুরু হয়। আগে কৃষ্ণনগর থেকে কারিগর আসতেন। এখন বর্ধমানের কারিগর দিয়েই মূর্তি গড়া হয়।