সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ১৪ বছরের বোনকে জোর করে দেহ ব্যবসায় নামানোর অভিযোগ উঠল দিদির বিরুদ্ধে। চেন্নাইয়ের (Chennai) এই ঘটনায় অভিযুক্ত যুবতী-সহ ৬ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই শিউরে উঠেছে আমজনতা। রাজ্যজুড়ে শুরু হয়েছে শোরগোল। কোন অপরাধ মানসিকতা থেকে কেউ নিজের বোনকেই বেশ্যাবৃত্তিতে নামাতে পারে, ভাবছে পুলিশ।
নাবালিকা চেম্মেনচেরিতে থাকত। সম্প্রতি দিদির সঙ্গে থাকার জন্য শহরের পাডুভানচেরি এলাকায় এসেছিল সে। পুলিশের দাবি, নাবালিকাকে তার দিদি এবং সৎ মা একযোগে জবরদস্তি দেহ ব্যবসায় নামায়। কাজের জন্য শহরের বিভিন্ন স্থানে নিয়ে যাওয়া হত কিশোরীকে। এভাবেই কেকে নগর এবং চেনগালপাট্টুতে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। ক'দিন আগে চেনগালপাট্টুর শিশুকল্যাণ সমিতি পুলিশে খবর দেয়। এর পরই সেলাইউর মহিলা পুলিশ থানার একটি দল নবালিকাকে উদ্ধার করতে সমর্থ হয়েছে।
[আরও পড়ুন: মধুচক্রের শিকার! হোটেলের শৌচাগারে তরুণীর অর্ধনগ্ন দেহ ঘিরে চাঞ্চল্য হরিণঘাটায়]
পুলিশ জানিয়েছে, কিশোরীর দিদি-সহ যে ৬ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে তারা লক্ষ্মী, প্রকাশ, দামোধরণ, কবিতা, কারপগম এবং শ্রীনিবাসন। ঘটনায় আরও দুই অভিযুক্তকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ। উল্লেখ্য, গত মে মাসে স্কুলের মেয়েদের দেহ ব্যবসায় বাধ্য করার জন্য চেন্নাই থেকে সাতজনকে গ্রেপ্তার করেছিল পুলিশ। আবারও নাবালিকাকে জোর করে বেশ্যাবৃত্তিতে নামানোর অভিযোগে অস্বস্তিতে পড়েছে চেন্নাই পুলিশ। প্রশ্ন উঠছে আইনের শাসন নিয়ে।