সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ৭০ হাজার টাকায় কিনে বিয়ে করেছিলেন তরুণীকে। সেই স্ত্রীকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে জঙ্গলে ফেলে দেওয়ার অভিযোগ উঠল যুবকের বিরুদ্ধে। দক্ষিণ দিল্লির (South Delhi) এই ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। মূল অভিযুক্ত-সহ তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তদন্তকারীদের দাবি, ইতিমধ্যে তরুণীকে হত্যার কথা স্বীকার করেছে অভিযুক্তরা।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃত তরুণীর নাম সুইটি। মূল অভিযুক্ত তাঁর স্বামী ধরমবীর। মৃত তরুণীর পরিবার সূত্র মেলেনি। এক মহিলার থেকে ৭০ হাজার টাকার বিনিময়ে তরুণীকে কিনেছিলেন ধরমবীর। এর পর তাঁকে বিয়ে করেন। পুলিশি জেরায় ধরমবীরের ভায়রা পেশায় অটো ড্রাইভার অরুণ স্বীকার করেন, সুইটির আচরণে খুশি ছিলেন না ধরমবীর। স্বামীকে না জানিয়ে মাঝেমাঝে এক থেকে দেড় মাসের জন্য ঘর ছাড়া হত সুইটি। এই কারণেই তাঁকে খুনের পরিকল্পনা করেন ধরমবীর। সেই মতো ধরমবীর, অরুণ এবং সত্যবান নামের আরও এক যুবক হরিয়ানা সীমান্তের কাছে জঙ্গলে সুইটিকে নিয়ে গিয়ে শ্বাসরোধ করে খুন করেন। হত্যার পর সেখানেই তাঁকে ফেলে চলে আসেন।
[আরও পড়ুন: ফের পিছিয়ে গেল সুকন্যা মণ্ডলের জামিনের মামলা, মেয়ের খবর পেতে হয়রান অনুব্রত]
শনিবার পুলিশ খবর পায়, ঝিল খুর্দ সীমান্তের কাছে ফতেপুর বেরির জঙ্গলে এক তরুণীর দেহ মিলেছে। দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠান তদন্তকারীরা। খতিয়ে দেখা হয় এলাকার সিসিটিভি ফুটেজ। তখনই একটি অটোর হদিশ মেলে। যেটি শুক্রবার গভীর রাতে জঙ্গলের দিকে গিয়েছিল।অটোরিক্সাটি ছিল অরুণের। তাঁকে গ্রেপ্তার করার পরেই ধরমবীর এবং সত্যবানেরও সন্ধান মেলে।