সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সুপ্রিম কোর্টে (Supreme Court) প্রবল ভর্ৎসনার মুখে দেশের পুলিশ প্রশাসন। শাসকদলকে খুশি করতে যত্রতত্র ক্ষমতার অপব্যবহার করে থাকে পুলিশ। শাসকদলের নির্দেশ মেনে কাজ করতে গিয়ে বিরোধীদেরও হেনস্তা করা হয়। আর এই ট্রেন্ডটিই খুবই বিপজ্জনক। বৃহস্পতিবার এক মামলার শুনানিতে এমনই মন্তব্য করল দেশের প্রধান বিচারপতি এন ভি রামানার নেতৃত্বাধীন বেঞ্চ।
সম্প্রতি আয়ের তুলনায় বেশি সম্পত্তি রাখার অভিযোগে সাসপেন্ড করা হয়েছিল ছত্তিশগড়ের এক পুলিশ আধিকারিককে। এর পাশাপাশি তাঁর বিরুদ্ধে দেশদ্রোহিতার অভিযোগও আনা হয়েছিল। এরপরই শীর্ষ আদালতে পিটিশন দায়ের করেন ওই পুলিশ আধিকারিক। সেই সংক্রান্ত মামলার শুনানিই চলছে সুপ্রিম কোর্টে। আর সেই শুনানিতেই প্রধান বিচারপতি বলেন, “শাসকদলকে খুশি করতে অনেক পুলিশ অফিসারই ক্ষমতার অপব্যবহার করে এবং বিরোধীদের হেনস্তা করে।” এখানেই শেষ নয়, এই ট্রেন্ডের জন্য দায়ী পুলিশ আধিকারিকরাই। এমনই মন্তব্য করেন প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন বেঞ্চ।
[আরও পড়ুন: কলেজিয়ামের সুপারিশ মানল কেন্দ্র, ভারতের প্রথম মহিলা Chief Justice হওয়ার পথে বিভি নাগরত্ন]
প্রসঙ্গত, সম্প্রতি ১৯৯৪ সালের আইপিএস অফিসার গুরজিন্দর পাল সিংয়ের বিরুদ্ধে দেশদ্রোহিতার অভিযোগ তুলেছিল ছত্তিশগড় সরকার। এমনকী তাঁকে সাসপেন্ডও করা হয়েছে। এরপরই সুপ্রিম কোর্টে পিটিশন দায়ের করেন গুরজিন্দর পাল সিং। পাশাপাশি কংগ্রেস সরকারের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলে বলেন, পূর্ববর্তী বিজেপি সরকারের সঙ্গে সুসম্পর্ক থাকার কারণেই তাঁর বিরুদ্ধে এই ধরনের অভিযোগ করা হচ্ছে।
আর এই মামলার শুনানিতেই দেশের পুলিশ ব্যবস্থাকে ভর্ৎসনা সুপ্রিম কোর্টের। পাশাপাশি ছত্তিশগড় সরকারকে গুরজিন্দর পালকে গ্রেপ্তার না করার নির্দেশ দিয়েছে। উল্লেখ্য, চলতি বছরের শুরুতেই এই আইপিএস আধিকারিকের বাড়িতে তল্লাশি চালিয়েছিল আয়কর বিভাগ। আয়ের তুলনায় বেশি সম্পত্তি থাকার অভিযোগও উঠেছিল গুরজিন্দর পালের বিরুদ্ধে। তারপরই ছত্তিশগড় সরকারের রোষানলে পড়েন গুরজিন্দর সিং।