সুকুমার সরকার, ঢাকা: বর্তমানে 'সিঙ্গেল মাদার' হিসেবে দুই সন্তানই পরীমনির জগৎ। একা নারী যে দায়িত্ব-কর্তব্যে কোনও অংশেই কম নন, সেকথা নিজের জীবন দিয়েই বুঝিয়ে এসেছেন অভিনেত্রী। মাথার উপর ছাতার মতো নানা কে হারিয়েছেন গত বছর। সেই শোক বুকে আগলেই দুই সন্তানকে একা হাতে বড় করছেন। তাঁর 'নানুভাই' চলে যাওয়ায় এবছরের জন্মদিনটা বিশেষভাবে পালন করতে চাননি। কিন্তু দুই সন্তানের মুখের দিকে চেয়ে কেক কাটলেন 'লক্ষ ভক্তের' সঙ্গে।
২৪ অক্টোবর পরীমণি ৩২-এ পা রাখলেন। বাংলাদেশি স্টার-নায়িকার জন্মদিন মানেই বিশেষ কিছু। বড় পরিসরে উদযাপন। তারকাদের নিয়ে বসে জমজমাট আসর। তবে এবার এই দিনে বিশেষ কোনও আয়োজন থাকেনি। প্রতিবছরের মতো এবারও কেক কেটে জন্মদিন উদযাপন করেছেন বটে, তবে চোখে ছিল জল। কারণ, পরীমণির সবচেয়ে আপনজন নানা শামসুল হক গাজী নেই এই জগতে। এবারের জন্মদিনটি সন্তান, ঘনিষ্ঠ কিছু বন্ধু ও সহকর্মীদের সঙ্গেই পালন করেছেন অভিনেত্রী। পরীর মন্তব্য, "আসলে আমি শারীরিকভাবে একটু অসুস্থ। আমার জন্মদিন উদযাপন করার কোনও পরিকল্পনাই ছিল না। কারণ, আমার নানাভাই ছাড়া আমি বড্ড একা। প্রতিবছর নানু ভাইয়ের হাত ধরেই আমি কেক কাটতাম। কিন্তু নানু ভাইতো আর এখন নেই।"
২০২৩ সালের গোটা বছরটা পরিমণির জীবনে বহু ঝড়ঝাপটা গিয়েছে। তবুও শক্ত থেকেছেন দুই সন্তানকে আঁকড়ে ধরেই জীবন সাজিয়েছেন অভিনেত্রী। একে স্বামী শরিফুল রাজের সঙ্গে ডিভোর্স, উপরন্তু জীবনের সবথেকে কাছের মানুষ নানুভাইয়ের মৃত্যু হয়েছে। অভিনেত্রী মা-বাবা মারা যাওয়ার পর থেকে যে মানুষটিই ছিলেন পরীর অবলম্বন। হাজারো চড়াই-উতরাই পেরিয়ে থিতু হয়েছেন ঠিকই, তবে নানুভাইয়ের শূন্যতা পূরণ হয়নি পরিমণির জীবনে।
অভিনেত্রী জানান, "ভেবেছিলাম এই দিনে যান্ত্রিক শহর থেকে দূরে কোথাও গিয়ে নিজের মতো করে সময় কাটাব। কিন্তু আমার কাছের প্রিয় কিছু মানুষ আমাকে সারপ্রাইজ দিয়েছেন। আর তাই আমিও চাই এই বিশেষ মুহূর্ত আমার দুই সন্তানকে সঙ্গে নিয়ে আমার এক কোটি ৬০ লাখ ভক্তকে নিয়েই পালন করতে।" প্রসঙ্গত, সামনেই হইচইতে আসছে পরীমণির প্রথম ওয়েব সিরিজ 'রঙিলা কিতাব'। অনম বিশ্বাস পরিচালিত এই সিরিজটি আগামী ৮ নভেম্বর মুক্তি পাচ্ছে। যেখানে মুখ্য ভূমিকায় পরীমণির সঙ্গে অভিনয় করেছেন মোস্তাফিজুর নুর ইমরান।