সুকুমার সরকার, ঢাকা: বিশ্বের মন্থরতম শহর ঢাকা। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের এক রিপোর্টে এমনটাই দাবি করা হয়েছে। বলা হয়েছে, বাংলাদেশের রাজধানীর এহেন শম্বুক গতি নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে দেশের অর্থনীতিতেও।
সম্প্রতি, একটি গবেষণা পত্র প্রকাশ করেছে আমেরিকার ‘ন্যাশনাল ব্যুরো অব ইকোনমিক রিসার্চ’। সেখানে দাবি করা হয়েছে, দুনিয়ায় সবচেয়ে ধীরগতির শহর হচ্ছে ঢাকা। সবচেয়ে মন্থরতম ২০টি শহরের তালিকায় ঢাকার পরে রয়েছে নাইজেরিয়ার দুই শহর– লাগোস ও ইকোরোদু। এর পরে রয়েছে ফিলিপিন্সের রাজধানী ম্যানিলা। ধীরগতির শহরের তালিকায় ঢাকা ছাড়াও ময়মনসিংহ (নবম) ও চট্টগ্রামও (দ্বাদশ) রয়েছে। ভারতের কলকাতা, মুম্বাই-সহ আটটি শহর রয়েছে এই লিস্টে। ১৫২টি দেশের ১ হাজার ২০০টির বেশি শহরে যান চলাচলের গতি বিশ্লেষণে এই চিত্র উঠে এসেছে। যান চলাচলে এই ধীরগতির নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে অর্থনীতিতে।
[আরও পড়ুন: জেহাদের জাল ফর্দাফাই! বাংলাদেশে গ্রেপ্তার কুখ্যাত রোহিঙ্গা জঙ্গি কমান্ডার]
এদিকে, বিশ্বের সবচেয়ে বেশি গতির ১০০ শহরের মধ্যে ৮৬টি রয়েছে আমেরিকায়। প্রতিবেদনে দ্রুততম ২০টি শহরের যে নাম এসেছে, তার মধ্যে ১৯টি যুক্তরাষ্ট্রের। একটি কানাডার অন্টারিও রাজ্যের উইন্ডসর। উল্লেখ্য, বিশ্বব্যাঙ্কের সহায়তায় এই গবেষণাটি করেছেন ফিনল্যান্ডের আলটো বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবহণ ব্যবস্থার অর্থনীতি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক প্রত্যয় আমান আকবর, কানাডার ব্রিটিশ কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতির সহযোগী অধ্যাপক ভিক্টর কুচিও, যুক্তরাষ্ট্রের পেনসিলভানিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের রিয়েল এস্টেট বিভাগের অধ্যাপক গিলেস ডুরানটন এবং যুক্তরাষ্ট্রের টাফটস বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতির সহযোগী অধ্যাপক অ্যাডাম স্টোরিগার্ড।
এই মন্থর গতির কারণ কী? গবেষণা পত্র বলছে, বাংলাদেশের শহরগুলিতে একই আয়তনের অন্যান্য দেশের শহরের তুলনায় জনসংখ্যা ৪০ শতাংশ বেশি এবং বড় সড়ক ৪২ শতাংশ কম। এই কারণে বাংলাদেশের শহরগুলো গতি এত কম। এক দশক ধরেই ঢাকা ও ময়মনসিংহের মতো শহরে যানজট বাড়ছে। বর্তমানে তা অসহনীয় পর্যায়ে পৌঁছেছে। স্থানীয় নাগরিক সংগঠনের নেতারা বলেন, নগরের প্রধান প্রধান সড়ক-সহ প্রায় সব রাস্তাই সরু। নগরে মানুষ বাড়লেও সড়ক উন্নয়ন হয়নি।