সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কর্ণাটকে (Karnataka) ভোটের আগে দলের ইস্তেহারে একাধিক ‘খয়রাতি’ প্রকল্প ঘোষণা করেছিল কংগ্রেস (Congress)। সেই প্রসঙ্গ তুলে সদ্য গঠিত কংগ্রেস সরকার এবং মুখ্যমন্ত্রী সিদ্দারামাইয়ার (Siddaramaiah) সমালোচনা করে সাসপেন্ড হলেন সে রাজ্যের এক স্কুল শিক্ষক। চিত্রদূর্গের একটি সরকারি স্কুলের ওই শিক্ষক একটি ফেসবুক পোস্ট করেছিলেন। এরপরেই কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হয় তাঁর বিরুদ্ধে। ইতিমধ্যে স্কুল কর্তৃপক্ষকে সাসপেনশনের চিঠি ধরানো হয়েছে। এই ঘটনায় আসরে নেমেছে বিজেপি (BJP)। কংগ্রেসের (Congress) বিরুদ্ধে তোপ দেগেছেন গেরুয়া শিবিরের আইটি সেলের প্রধান অমিত মালব্য।
মুখ্যমন্ত্রী নিয়ে দ্বন্দ্ব ডিঙিয়ে শনিবার শপথগ্রহণ করেছেন সিদ্দারামাইয়া। সরকারের বয়স কার্যত দুই দিন। এরমধ্যেই সরকারের সমালোচনায় ক্ষেপেছে রাজ্য প্রশাসন। চিত্রদূর্গের সরকারি স্কুলের শিক্ষকের নাম শান্তমূর্তি এম জি। তিনি কংগ্রেস সরকারে ‘খয়রাতি’ প্রকল্পের তীব্র সমালোচনা করেন। ফেসবুকে পোস্টে শান্তমূর্তি লেখেন, “খয়রাতি ছাড়া আপনি কী-বা করতে পারেন।” এরপর একটি পরিসংখ্যান দেন অভিযুক্ত শিক্ষক। যেখানে উল্লেখ করা হয়েছে বিভিন্ন মুখ্যমন্ত্রীদের আমলে কতখানি দেনায় ডুবেছে কর্ণাটক। পোস্টে বলা হয়েছে, সিদ্দারামাইয়ার আমলে (২০১৩-২০১৮) তা ২ লক্ষ ৪২ হাজার কোটি ছাড়িয়ে যায়।
[আরও পড়ুন: প্রসঙ্গ ডিপ্লোমা ডাক্তার, মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা চায় ইন্ডিয়ান অ্যাসোসিয়েশন অব ফিজিশিয়ান অ্যাসিস্ট্যান্ট]
এমন পোস্টের পরেই শিক্ষকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়। রাজ্যের ফিল্ড এডুকেশন অফিসার এল জয়াপ্পা বলেন, “সাসপেন্ড হওয়া শিক্ষক অতীতের সরকারের দেনা প্রকাশ্যে এনেছেন। অভিযুক্ত করে মুখ্যমন্ত্রী সিদ্দারামাইকে, যিনি শনিবার শপথ নিয়েছেন। এই কাজ করে সরকারি কর্মী হিসেবে নীতিভঙ্গ করেছেন ওই শিক্ষক।” এদিকে শিক্ষক সাসপেন্ড হতেই কংগ্রেস সরকারের বিরুদ্ধে তোপ দেগেছে গেরুয়া শিবির। বিজেপির আইটি সেলের প্রধান অমিত মালব্য টুইট করেছেন, “ফেসবুক পোস্টে মুখ্যমন্ত্রী সিদ্দারামাইয়ার নীতির সমালোচনা করায় কর্ণাটকের এক স্কুল শিক্ষককে সাসপেন্ড করা হয়েছে। তিনি শুধু উল্লেখ করেছিলেন যে সিদ্দারামাইয়া খয়রাতির প্রতিশ্রুতি দিয়ে সরকার পরিচালনা করে থাকেনন। তার ফলে রাজ্যের ঋণ কয়েক গুণ বেড়ে যায়।”
[আরও পড়ুন: ভারতকে কালিমালিপ্ত করার চেষ্টা! মোদি তথ্যচিত্র নিয়ে BBC-কে নোটিস দিল্লি হাই কোর্টের]
প্রসঙ্গত, কর্ণাটকে ভোটের আগেভাগে একাধিক খয়রাতি প্রকল্পের ঘোষণা করেছিল কংগ্রেস। তার মধ্যে রয়েছে লক্ষ্মীর ভাণ্ডার ও যুবশ্রীর অনুকরণে গৃহলক্ষ্মী ও যুবনিধি প্রকল্প। মহিলাদের প্রতি মাসে ২ হাজার ও বেকার স্নাতক যুবকদের প্রতিমাসে ৩ হাজার ও ডিপ্লোমাপ্রাপ্তদের দেড় হাজার টাকা করে অনুদান দেওয়া হবে। সেইসঙ্গে ২০০ ইউনিট পর্যন্ত বিদ্যুতে ছাড় দেওয়া হবে বলেও ঘোষণা করা হয়েছিল।