সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: অনন্য নজির গড়ল কেরল। গ্রাম্য মানুষকে শিক্ষিত করার লক্ষ্য নিয়ে চায়ের দোকানের মধ্যেই গ্রন্থাগার খুলে ফেললেন বিক্রেতা পি ভি চিন্নাথাম্বি ও শিক্ষক পি কে মুরলীধরন। ওই অভিনব উদ্যোগ দেখা গিয়েছে কেরলের ইদুক্কি জেলায়।
প্রসঙ্গত, ২০১০ সালে কেরলের ইদুক্কি জেলার এদুমালাক্কাডি গ্রামে প্রথম পঞ্চায়েত গঠিত হয়। আর সেই বছরই এলাকার মানুষকে শিক্ষিত করার দিকে বিশেষ নজর দিলেন দু’জন। একজন চা বিক্রেতা ও অন্যজন শিক্ষক। আদিবাসীদের মধ্যে শিক্ষার বিস্তার ঘটানোর লক্ষ্যে দুই দশক আগে ওই গ্রামে এসে বসবাস শুরু করেন শিক্ষক মুরলীধরন। আর তাঁর এই সৎ-ভাবনা নজরে পড়ে চা বিক্রেতা পি ভি চিন্নাথাম্বির। দু’জনে মিলে পরিকল্পনা করেন, কেমন করে আদিবাসী মানুষকে শিক্ষিত করা যায়। সেই ভাবনা থেকেই গ্রন্থাগার প্রতিষ্ঠা করা।
[ আরও পড়ুন: পুলওয়ামায় সেনা-জঙ্গি সংঘর্ষে শহিদ এক জওয়ান, নিকেশ ৩ জঙ্গি ]
প্রসঙ্গত, চায়ের দোকানে বসেই ঠিক হয় কেমন করে এলাকার মানুষজনের মধ্যে শিক্ষার বিস্তার ঘটানো যায়। দু’জনে মিলেই আদিবাসী মানুষজনকে (মুথুভান জনজাতি) বোঝানোর চেষ্টা করেন বই পড়ার উপকারিতা। এরপর থেকে আদিবাসী মানুষকে একপ্রকার জোর করেই বই পড়ানোর কথা বোঝাতে থাকেন তাঁরা। আস্তে আস্তে দু’জনে দেখতে পান যে, এলাকার মানুষের মধ্যে বই পড়ার প্রতি আগ্রহ বাড়ছে।
এরপরই গ্রন্থাগার তৈরির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। কিন্তু তা তৈরি হবে? ঠিক হয় পি ভি চিন্নাথাম্বির চায়ের দোকানের মধ্যেই সেই গ্রন্থাগার চালু করা হবে। যেমন ভাবনা তেমন কাজ। দোকানের মধ্যেই অল্প সময়ের মধ্যেই তৈরি হয়ে যায় গ্রন্থাগার। শিক্ষক তো নিজেই অনেক বই জোগাড় করেন। তাছাড়াও এই অভিনব উদ্যোগকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য পার্শ্ববর্তী অঞ্চলের বহু বিশিষ্টজনেরা বই দিয়ে সাহায্য করতে থাকেন। কিছুদিনের মধ্যে গ্রন্থাগারে নানা বিষয়ে প্রচুর বই এসে গিয়েছে।
[ আরও পড়ুন: মণিশংকরের পর দিগ্বিজয়, প্রধানমন্ত্রীকে কুরুচিকর আক্রমণ কংগ্রেস নেতার ]