স্টাফ রিপোর্টার: সলতে পাকানোর কাজ শুরু হয়েছিল বছরখানেক আগে। তবে প্রদীপ প্রজ্বলন হবে আগামী বৃহস্পতিবার। ডাউন সিনড্রোম আক্রান্তদের চিকিৎসা কেন্দ্র চালু হচ্ছে ডায়মন্ড হারবার মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে। আগামী বৃহস্পতিবার এই পরিষেবা শুরু হতে চলেছে। শুধুমাত্র পশ্চিমবঙ্গ নয়, স্বাস্থ্য দপ্তরের অভিমত, দেশের মধ্যে ডায়মন্ড হারবার মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালেই প্রথম সরকারি উদ্যোগকে ডাউন সিনড্রোম আক্রান্ত শিশুদের আউটডোর ও ইন্ডোর ক্লিনিক চালু হতে চলেছে।
প্রত্যন্ত এলাকার ডাউন সিনড্রোম আক্রান্ত শিশুদের শারীরিক সমস্যা হলে অভিভাবকদের আর দিশেহারা হয়ে এক হাসপাতাল থেকে অন্য হাসপাতালে ছুটতে হবে না। অধ্যক্ষ ডা. উৎপল দাঁ জানিয়েছেন, ‘‘আপাতত মাসে দু’দিন আউটডোর ক্লিনিক শুরু হবে। পরে সংখ্যা আরও বাড়ানো হবে।’’
[আরও পড়ুন: ভবানীপুর সুইমিং ক্লাবে অগ্নিকাণ্ডের কারণ নিয়ে ধোঁয়াশা, ঘটনাস্থলে যাচ্ছে ফরেনসিক টিম]
ডাউন সিন্ড্রোম আক্রান্তদের দেখভালের জন্য কলকাতায় বেশ কয়েকটি সংস্থা কাজ করছে। এরমধ্যে ‘ট্রাইজোমি সোসাইটি’র তরফে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণীতত্ত্বের অধ্যাপক ডা. সুজয় ঘোষ এবং ডায়মন্ড হারবার মেডিক্যাল কলেজের শিশুরোগ বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ডা. সুমন্ত্র সরকার এমন ক্লিনিক খোলার জন্য স্বাস্থ্য দপ্তরে বারবার চিঠি লেখেন। সুজয় ঘোষ স্বাস্থ্য দপ্তরকে ধন্যবাদ দিয়ে বলেছেন, ‘‘অন্তত চারবার চিঠি দিয়েছি। ডাউন সিন্ড্রোম শিশুদের কোমর্বিডিটি স্বাভাবিক শিশুদের থেকে বেশি। দ্রুত রোগে আক্রান্ত হয়। এই বিষয়টি বুঝতে পেরেছেন স্বাস্থ্য দপ্তরের কর্তারা। তাই সবুজ সংকেত দিয়েছেন।’’
ডা. সুমন্ত্র সরকারের কথায়, ‘‘এটা একটা যৌথ উদ্যোগের ফসল। মূলত গ্রামের ডাউন সিন্ড্রোম আক্রান্ত বাচ্চাদের ক্লিনিক্যাল ম্যানেজমেন্ট অত্যন্ত দরকার। গরিব পরিবারের দিনের খাবার জোগাড় করতেই দিন চলে যায়। বাচ্চাদের চিকিৎসা করবে কী করে? এমন একটা অবস্থায় কিছুটা চিকিৎসার সুযোগ করে দিতেই এই আউটডোর খোলা হচ্ছে।’’ হাসপাতালে বাচ্চাদের জন্য বরাদ্দ ৫৫টি। আইসিইউ ৪টি। এবং এইচডিইউ ৮টি। যদি কোনও রোগীকে ভরতি করতে হয়, তবে পেডিয়াট্রিক বিভাগেই ভরতি করা হবে। পরে আলাদা ইউনিট চালু হবে।’’ পাশাপাশি জিনঘটিত রোগের চিকিৎসা ও গবেষণাও চালু হতে চলেছে এই হাসপাতালে। ঘটনা হল, রাজ্যে ঠিক কত ডাউন সিন্ড্রোম শিশু রয়েছে তার সঠিক তথ্য নেই। এবার অন্তত একটা তথ্যভাণ্ডার গড়ে উঠবে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।