সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মানুষের ব্যক্তিগত জীবন থেকে ব্যাংক অ্যাকাউন্টের টাকা- সবই বন্দি এখন হোয়াটসঅ্যাপের চার দেওয়ালে। তাই সেই হোয়াটসঅ্যাপের তথ্য একবার হাতে পাওয়া গেলে হ্যাকারদের পোয়া বারো। সেই কারণেই বর্তমানে বেড়েছে সাইবার ক্রাইম। হোয়াটসঅ্যাপ থেকে তথ্য হাতিয়ে নেওয়ার প্রবণতাও একলাফে অনেকটাই ঊর্ধ্বমুখী। ইউজাররা শুনলে আতঙ্কিত হবেন যে সিম-সোয়াপিং প্রযুক্তি ব্যবহার করে ব্যক্তিগত তথ্য চুরির ফন্দি আঁটছে হ্যাকাররা। আর তার মাধ্যমেই নিমেষে ফাঁকা হয়ে যাচ্ছে ব্যাংক অ্যাকাউন্ট। তাই সময় থাকতেই সাবধান হতে হবে।
বিশ্বজুড়ে অত্যন্ত জনপ্রিয় মেটা (আগের নাম ফেসবুক) অন্তর্ভূক্ত হোয়াটসঅ্যাপ। এই মেসেজিং অ্যাপের ইউজাররের সংখ্যা দিনে দিনে যেমন বাড়ছে, তেমনই বাড়ছে প্রতারণা। এখন তো আপনার হোয়াটসঅ্যাপ নম্বরটির ক্লোন বানিয়ে ব্যাংক অ্যাকাউন্ট থেকে টাকা সাফ করে দেওয়ার চক্র চলছে রমরমিয়ে। সিম-সোয়াপিং প্রযুক্তি অন্তত ২ কোটি হোয়াটসঅ্যাপ ইউজারকে সমস্যা ফেলে দিয়েছে।
[আরও পড়ুন: পৌষ সংক্রান্তিতে বাংলায় এবার ‘দুয়ারে পিঠে’, অর্ডার দিলেই বেল বাজাবে দুধ পুলি-পাটিসাপটা]
এবার প্রশ্ন হল এই প্রযুক্তিটি আসলে কী?
অনলাইন স্ক্যামাররা আপনার হোয়াটসঅ্যাপ (WhatsApp) নম্বরটি ক্লোন করে নিয়ে প্রযুক্তির সাহায্যে তা অন্য সিমে ভরে দেয়। আর সেই সিম অ্যাকটিভেট হয়ে গেলেই সিমে থাকা আপনার সমস্ত কনট্যাক্ট নম্বর, পাসওয়ার্ড এবং ব্যাংক অ্যাকাউন্ট ডিটেল অনায়াসে চলে যায় স্ক্যামারের হাতে। অনেক সময় স্ক্যামাররা ভুয়ো কল করেও আপনার থেকে হোয়াটসঅ্যাপ নম্বর চেয়ে নেয়।
তাহলে কীভাবে সাবধান হবেন?
সাইবার বিশেষজ্ঞরা বলছেন, হোয়াটসঅ্যাপে টু-স্টেপ ভেরিফিকেশন করে রাখা জরুরি। এতে হকাররা চট করে আপনার হোয়াটসঅ্যাপ অ্যাকাউন্টে ঢুকে পড়তে পারে না। তাই মেসেজিং অ্যাপের সেটিংস থেকে অ্যাকাউন্টে এই টু-স্টেপ ভেরিফিকেশন (Two-Step Verification) অপশনটি অন করে রাখুন। দ্বিতীয়ত, অযথা অচেনা কোনও লিংকে ক্লিক করবেন না। এর অর্থ কিন্তু অজান্তে প্রতারকের ফাঁদে পা দেওয়াও হতে পারে। তৃতীয়ত এবং সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ, কারও সঙ্গে অ্যাপের মাধ্যমে অতি ব্যক্তিগত তথ্য শেয়ার করবেন না। এতে দিনের শেষে আপনিই সুরক্ষিত থাকবেন।