shono
Advertisement

উত্তুরে হাওয়ার দেশে

স্বল্প খরচে পাহাড় আর জঙ্গলের যুগলবন্দি! The post উত্তুরে হাওয়ার দেশে appeared first on Sangbad Pratidin.
Posted: 08:30 PM Nov 12, 2016Updated: 03:36 PM Apr 26, 2019

বর্ণিনী মৈত্র চক্রবর্তী: লং উইক-এন্ড হোক বা লম্বা ছুটি৷ বাঙালির অন্যতম প্রিয় ডেস্টিনেশন উত্তরবঙ্গ৷ কয়েক ঘণ্টার যাত্রাপথেই পাহাড়ের কোলে৷ শুধু পাহাড় নয়, উত্তরবঙ্গে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে থাকা জঙ্গলও আকর্ষণের শীর্ষে৷ ডুয়ার্স ও তার আশপাশের সমস্ত জঙ্গল একেবারে যাকে বলে হটস্পট৷ চেনাজানা জায়গা তো আছেই, এছাড়াও ছোট ছোট এমন অচেনা অজানা কিছু জায়গা রয়েছে, যা এককথায় একেবারে অতুলনীয়৷

Advertisement


দার্জিলিং ডিস্ট্রিক্টের ছোট একটুকরো জায়গা সুনতালেখোলা৷ জায়গাটির নামকরণ একটি ছোট্ট ঝোরা ‘সুনতালেখোলা’-র নামে৷ নেপালি ভাষায় সুনতালে মানে কমলা আর খোলা মানে ঝোরা৷ সামসিং থেকে মাত্র পাঁচ কিলোমিটার দূরত্ব৷
এখানকার প্রাকৃতিক সৌন্দর্য এককথায় অপূর্ব৷ ব্ল্যাক ইগল, হিল প্যাটরিজ, হোয়াইট থ্রোটেও ফ্যানটেল, স্কারলেট মিনিভেট ও আরও নানা প্রজাতির পাখির দেখা মিলবে৷ অপূর্ব তাদের রং৷ রঙের বৈচিত্রে তাজ্জব বনে যেতে হয়৷ সামসিং পৌঁছে বহু পর্যটক ট্রেক করে সুনতালেখোলা পৌঁছান৷ ট্রেকিং-এর পথে প্রকৃতিকে আর একটু কাছ থেকে উপভোগ করা যায় যেন৷ শান্ত পরিবেশের মধ্যে দিয়ে প্রকৃতি একেবারে যেন আষ্টেপৃষ্ঠে জড়িয়ে ধরে৷ শিলিগুড়ি থেকে মাত্র ৮৫ কিলোমিটারের ব্যবধান৷ ট্রেকার বা গাড়ি ভাড়া করে পৌঁছানো যায় সুনতালেখোলা৷


এবার চলুন জঙ্গল সফরে৷ জলদাপাড়া অভয়ারণ্যের কাছেই চিলাপাতা জঙ্গল৷ আলিপুরদুয়ার থেকে মাত্র কুড়ি কিলোমিটার দূরে এর অবস্থান৷ একদিকে ডুয়ার্সের ঘন জঙ্গল, অন্যদিকে চিলাপাতা৷ মাঝে বয়ে যাওয়া তোর্সা নদী৷ প্রচুর হাতি আর একটি শিংওয়ালা গন্ডারের দেখা মেলে এই জঙ্গলে৷ এছাড়াও হরিণ, লেপার্ড, বন্য শুয়োর, ময়ূরের দেখা মেলে৷


ঘন সবুজ জঙ্গলে এক অদ্ভুত স্তব্ধতা রয়েছে৷ এক নিশ্ছিদ্র স্তব্ধতার বেষ্টনীতে পুরো জঙ্গল মোড়া৷ ফরেস্ট বাংলোতে রাত্রিবাসে যখন ওই স্তব্ধতার মাঝখান থেকে হঠাৎ কোনও জন্তুজানোয়ারের পদধ্বনি কানে এসে পৌঁছায়, তা নিঃসন্দেহে যেমন থ্রিলিং, আবার চমকপ্রদও বটে৷

পশ্চিমবঙ্গ সরকারের একটি সরকারি ইকো-ট্যুরিজম রিসর্ট রয়েছে এখানে, নাম ‘মেন্দাবাড়ি জঙ্গল ক্যাম্প’৷ কোদালবস্তি নামক একটি জায়গায় এর অবস্থান৷ নিউ আলিপুরদুয়ার স্টেশন থেকে মেন রোড ধরে জঙ্গল৷ সেখানে ওয়াচ টাওয়ার পেরিয়ে একটি কাঠের ব্রিজ৷ ব্রিজের ওপারেই রয়েছে ফরেস্ট বাংলো৷ ব্রিজের তলা দিয়ে বয়ে চলা ঝোরাতে মাঝেমধ্যেই বন্যপ্রাণীরা জল খেতে আসে৷


চিলাপাতা জঙ্গলের আর এক আকর্ষণ নলরাজাগড়৷ গুপ্ত সাম্রাজ্যের সময়কার দুর্গ এটি৷ প্রায় দু’হাজার বছরের পুরনো এই দুর্গটি দেখে বিস্মিত হতে হয়৷ তবে দুর্গের তোরণের পর আর যাওয়া সম্ভব হয় না৷ জঙ্গল এতটাই ঘন এখানে যে, তা প্রায় অভেদ্য৷ এছাড়া ‘কুনকি’ নামক একটি ওয়াচ টাওয়ার আছে এই জঙ্গলে৷ সেখানে দাঁড়িয়ে সূর্যাস্ত দেখা মনে রাখার মতো অভিজ্ঞতা৷ অক্টোবর মাস থেকে মে মাস অবধি জঙ্গল পর্যটকদের জন্য খোলা৷


কীভাবে যাবেন:
সুনতালেখোলা বা চিলাপাতা দু’টি জায়গাতেই এনজিপি থেকে পৌঁছানো যায়৷ আলিপুরদুয়ার থেকে গেলে আরও সুবিধা৷ দু’টি জায়গাই কাছে পড়বে৷ শিয়ালদহ থেকে তিস্তা-তোর্সা বা হাওড়া থেকে কামরূপ এক্সপ্রেস ধরে নিউ আলিপুরদয়ার৷ সেখান থেকে গাড়ি ভাড়া করে গন্তব্যে৷
কোথায় থাকবেন:
দু’টি জায়গাতেই সরকারি বাংলো রয়েছে থাকার জন্য৷ অগ্রিম বুকিং করে যাওয়াই ভাল৷

The post উত্তুরে হাওয়ার দেশে appeared first on Sangbad Pratidin.

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement