সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: গাজায় হামলা নিয়ে এবার ইজরায়েলের মাটিতেই বিক্ষোভের মুখে প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু। তেল আভিভ ও জেরুসালেমের পথে নেমে পড়তে দেখা গেল হাজার হাজার প্রতিবাদীদের। অভিযোগ, গাজা (Gaza) পরিস্থিতি সামাল দিতে পারছেন না নেতানিয়াহু। পণবন্দিদের মুক্ত করতে তাঁর প্রয়াসের আন্তরিকতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন তাঁরা।
শনিবার সন্ধ্যায় আলোচনায় বসেছিল ইজরায়েল ও হামাস। রবিবারও কায়রোয় ফের আলোচনা হওয়ার কথা। এখনও পর্যন্ত যুদ্ধবিরতির বিষয়ে পরিষ্কার কোনও ইঙ্গিত মেলেনি। তাই বাড়ছে প্রতীক্ষা। এখনও ইজরায়েলি ও বিদেশি মিলিয়ে গাজায় পণবন্দি অন্তত ১৩৪ জন। পথে যাঁরা নেমেছেন, তাঁদের একটা বড় অংশই পণবন্দিদের আত্মীয়। তেল আভিভে রিং রোড অবরোধ করেন তাঁরা। এদিকে জেরুসালেমেও শয়ে শয়ে প্রতিবাদী রাস্তায় নেমে প্রতিবাদ দেখান। নেতানিয়াহুর বাড়ির সামনে জড়ো হয়ে বিক্ষোভ প্রদর্শন করেন ওই আন্দোলনকারীরা। সকলেরই অভিযোগ, পণবন্দিদের দ্রুত মুক্ত না করতে পারাটা নেতানিয়াহুর ব্যর্থতা। এক প্রতিবাদীর মন্তব্য, ”আপনি (নেতানিয়াহু) যুদ্ধবিরতির চুক্তি হতে দিচ্ছেন না। আমাদের ও আমাদের প্রিয়জনদের মাঝে বাধা হয়ে দাঁড়িয়ে রয়েছেন আপনিই।” আর একজনের মন্তব্য, ”আমরা দেখতে পাচ্ছি কীভাবে রাজনৈতিক অভিসন্ধি থেকেই তিনি সিদ্ধান্ত নিচ্ছেন। আমাদের অফহৃত প্রিয়জনদের মুক্ত করতে তিনি কতটা চিন্তা করছেন তাও বোঝা যাচ্ছে।”
[আরও পডুন: ‘কুরুক্ষেত্র’ বারাকপুর, পার্থ-অর্জুনের ‘মহাভারতে’ শেষ হাসি কার? ফ্যাক্টর হবে বামেরা?]
গত ৭ অক্টোবর থেকে গাজায় সামরিক অভিযান চালাচ্ছে ইজরায়েলি (Israel) সেনা। আন্তর্জাতিক মহলে বারবার তোপের মুখে পড়লেও হামাসকে নিঃশেষ করার লক্ষ্যে অবিচল সেদেশের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা থেকে শুরু করে একাধিক আন্তর্জাতিক সংগঠন এই সামরিক অভিযানের ব্যাপক নিন্দা করেছে। গাজার সাধারণ মানুষের কথা ভেবে অবিলম্বে সেখানে যুদ্ধবিরতি চেয়ে বার বার প্রস্তাব পেশ হয়েছে রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে। গত সোমবার রমজান মাসে গাজায় যুদ্ধবিরতি চেয়ে নিরাপত্তা পরিষদে প্রস্তাব আনে অস্থায়ী সদস্য আলজেরিয়া। প্রস্তাবের সমর্থনে ভোট দেয় মোট ১৪ সদস্য দেশ। এখনও যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব পাশ হয়নি নিরাপত্তা পরিষদে।