শংকরকুমার রায়, রায়গঞ্জ: চোপড়া কাণ্ডে চাঞ্চল্যকর মোড়। কিশোরীকে ‘ধর্ষণ ও খুনে’ অভিযুক্ত ফিরোজ আলিকে হত্যার অভিযোগে মৃতার বাবা এবং দুই দাদাকে ১০ দিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দিল আদালত। মঙ্গলবার ধৃতদের ইসলামপুর (Islampur) মহকুমার আদালতে তোলা হলে অতিরিক্ত বিচারবিভাগীয় আদালতের বিচারক মহুয়া রায় বসু এই নিদের্শ দেন। আদালতের সরকারি আইনজীবী সঞ্জয় ভাওয়াল বলেন, “ফিরোজ আলিকে অপহরণ করে খুনের অভিযোগে ধৃত মধু সিংহ এবং তাঁর দুই ছেলে প্রিয়নাথ ওরফে কৃষ্ণ সিংহ ও অর্শনাথ সিংহের বিরুদ্ধে অপহরণ করে খুন করে প্রমাণ লোপাটের মামলা রুজু হয়েছে। পুলিশ সূত্রে জানানো হয়েছে, মৃত ফিরোজ আলির বাবা আমিরুল আলির অভিযোগের ভিত্তিতেই মৃতা কিশোরীর বাবা ও দুই ভাইকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
এপ্রসঙ্গে পুলিশ সুপার সচিন মক্কার বলেন, “ধৃতদের পুলিশ হেফাজতে নিয়ে খুনের ঘটনায় জড়িত বাকিদের খোঁজে তদন্ত শুরু হয়েছে।” যুবকের ময়নাতদন্তের রিপোর্টে কী জানা গিয়েছে সে বিষয়ে মুখ খোলেননি পুলিশ সুপার। আদালতের নির্দেশ প্রকাশ্যে আসার পরই এই ঘটনা প্রসঙ্গে বিজেপির জেলা সভাপতি বিশ্বজিৎ লাহিড়ী বলেন, “তৃণমূল ষড়যন্ত্র করে মৃতা কিশোরীর বাবা, দাদাকে খুনের মামলায় ফাঁসিয়ে গ্রেপ্তার করাল। শেষ দেখে ছাড়ব।” পাশাপাশি, কিশোরী খুনে জড়িত মূল অভিযুক্তদের গ্রেপ্তারের দাবিতে এদিন রায়গঞ্জের দলীয় কার্যালয়ের সামনের রাস্তায় মঞ্চ বেঁধে ধরনা ও অবস্থান বিক্ষোভ করে বিজেপি নেতৃত্ব। কিশোরী ও যুবক হত্যায় অভিযুক্তদের বিচার বিভাগীয় তদন্তের দাবিতে রায়গঞ্জের রাস্তায় বিক্ষোভে সরব হয় DYFI ও SFI। সবমিলিয়ে ক্ষোভ-বিক্ষোভে এখনও উত্তপ্ত চোপড়া।
[আরও পড়ুন: প্রেমিকের সঙ্গে সহবাস স্ত্রীর, মেজাজ হারিয়ে মাসি ও মেসোশ্বশুরের গায়ে আগুন ধরাল যুবক!]
প্রসঙ্গত, রবিবার সকালে চোপড়ার সোনাপুরে বাড়ির অদূরে মিলেছিল এক নাবালিকার দেহ। ধর্ষণ ও খুনের অভিযোগ তুলে বেশ কয়েকজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছিল নিহতের পরিবার। পরের দিন এলাকা থেকে উদ্ধার হয় মূল অভিযুক্ত ফিরোজ আলির দেহ। এরপরই অন্য মোড় নেয় গোটা ঘটনা। ওই যুবককে খুনের ঘটনায় জড়িত, এই অভিযোগে বাড়ি থেকে মৃত কিশোরীর বাবা ও দাদাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
[আরও পড়ুন: করোনা সংক্রমণের আঁতুরঘর বিয়েবাড়ি, আক্রান্ত বাড়ায় ৭দিন লকডাউন পুরুলিয়া শহরে]
The post চোপড়া কাণ্ড: ফিরোজ আলিকে ‘খুন’! মৃতার পরিবারের ১০ দিনের পুলিশ হেফাজত appeared first on Sangbad Pratidin.