তারক চক্রবর্তী, শিলিগুড়ি: করোনা কালে হাসপাতালের বিরুদ্ধে অসহযোগিতার অভিযোগ তুলে ধরনায় বসেছিলেন শিলিগুড়ির তিন বিজেপি বিধায়ক আনন্দময় বর্মন, শংকর ঘোষ ও শিখা চট্টোপাধ্যায়। রাজ্যের নয়া বিধিনিষেধ ভেঙে জমায়েত করায় হাসমিচক থেকে তাঁদের আটক করেছে পুলিশ। ঘটনায় উত্তেজনা ছড়িয়েছে এলাকায়।
রাজ্যের করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ক্রমশ বেড়েই চলেছে। পরিস্থিতি মোকাবিলায় তৃতীয়বার মুখ্যমন্ত্রী পদে শপথ নিয়েই লোকাল ট্রেন পরিষেবা বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাতেও বাগে আনা যায়নি করোনাকে। ফলে বাধ্য হয়েই ১৫ দিনের জন্য সমস্ত গণপরিবহণ বন্ধের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। একদিনে করোনাকে রুখতে রাজ্য যখন মরিয়া চেষ্টা চালাচ্ছে, সেই সময়ই অসাধু ব্যবসায়ীরা পরিস্থিতিকে কাজে লাগিয়ে মোটা টাকা আদায় করছেন রোগীর পরিবারের সদস্যদের থেকে। কখনও অক্সিজেনের সিলিন্ডার চড়া দামে কিনতে হচ্ছে তাঁদের। কখনও হাসপাতালে বেড পেতে মোটা টাকা দিতে হচ্ছে। শিলিগুড়ির ছবিটাও একই। বিজেপি বিধায়কদের অভিযোগ, শিলিগুড়ির বিভিন্ন হাসপাতালে রোগীর পরিবারের থেকে চড়া বিল নেওয়া হচ্ছে। ফলে সমস্যায় পড়তে হচ্ছে তাঁদের। হাসপাতালের অসহযোগিতায় রোগীর মৃত্যুর ঘটনাও ঘটছে।
[আরও পড়ুন: ফের করোনা আক্রান্ত অগ্নিমিত্রা পল, আসানসোলবাসীর জন্য ভিডিওতে দিলেন বিশেষ বার্তা]
এরই প্রতিবাদে রবিবার হাসমিচকে ধরনায় বসেন শিলিগুড়ির বিধায়ক শংকর ঘোষ, মাটিগাড়া-নকশালবাড়ির বিধায়ক আনন্দময় বর্মন ও ডাবগ্রাম-ফুলবাড়ির শিখা চট্টোপাধ্যায়। দলীয় কর্মীরাও ছিলেন সেখানে। রাজ্যের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে জমায়েত করায় ধরনাস্থল থেকেই তিন বিজেপি বিধায়ককে আটক করে পুলিশ।