গৌতম ব্রহ্ম: রামনবমীর (Ram Navami) মিছিল ঘিরে রাজ্য অশান্ত পরিস্থিতি থেকে শিক্ষা নিয়ে হনুমান জয়ন্তীর আগে অত্যন্ত কড়া প্রশাসন। বুধবার নবান্নে (Nabanna)ভিডিও কনফারেন্সে সমস্ত জেলা ডিএম, এসপি-দের সঙ্গে বৈঠক করেন মুখ্যসচিব এইচ কে দ্বিবেদী। মিছিলে অশান্তি যাতে না হয়, তার জন্য পুলিশকে একাধিক নির্দেশ দেওয়া হয়। কলকাতা, বারাকপুর ও চন্দননগরের স্পর্শকাতর এলাকায় শান্তি বজায় রাখতে ৩ কোম্পানি আধা সামরিক বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে। অন্যদিকে, হনুমান জয়ন্তীতে শান্তি বজায় রাখার বার্তা দিয়েছেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস।
জানা গিয়েছে, এদিন কলকাতা হাই কোর্টের (Calcutta HC) রায়ের পরিপ্রেক্ষিতে এদিন পুলিশের শীর্ষ কর্তারা বৈঠকে বসেন। তিন কোম্পানি আধা সেনা মোতায়েন করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। রাজ্য পুলিশ মোতায়েন থাকবে বড় সংখ্যায়। কিন্তু যেখানে প্রয়োজন হবে, সেখানে আধা সেনাও থাকবে। হুগলি, কলকাতা এবং বারাকপুর কমিশনারেটে তিন কোম্পানি আধা সেনা (CRPF) মোতায়েন করা হবে বলে রাজ্য প্রশাসন সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
[আরও পড়ুন: শুভেচ্ছা বা অভিনন্দন নয়, বলুন শুভনন্দন! নতুন শব্দ শেখালেন মুখ্যমন্ত্রী]
হনুমান জয়ন্তীর মিছিল নিয়েও একাধিক নির্দেশিকা দেওয়া হয়েছে পুলিশকে। যাঁরা মিছিলে অংশ নেবেন, তাঁদের নামের তালিকা আগে থেকে প্রশাসনকে দিতে হবে। সেই তালিকা খতিয়ে দেখে সবার জন্য পুলিশের তরফে পরিচয়পত্র (Identity Card) দেওয়া হবে। এই কার্ড ছাড়া কাউকে মিছিলে অংশ নিতে দেওয়া হবে না। যাতে মিছিলে অনভিপ্রেত কেউ ঢুকে অশান্তি বাঁধাতে না পারে, সেই কারণে এই সিদ্ধান্ত পুলিশের। ১০০ জনের বেশি সদস্য মিছিলে অংশ নিতে পারবে না। যদিও সামগ্রিকভাবে নিরাপত্তার দায়িত্ব থাকবে রাজ্য পুলিশেরই। স্পর্শকাতর জায়গায় থাকবে সিআরপিএফ। পুলিশকে সঙ্গে নিয়ে সর্বক্ষণ রুটমার্চ করবেন আধা সেনার জওয়ানরা।
[আরও পড়ুন: ইডেনে কেকেআরের ম্যাচ দেখে বাড়ি ফেরা নিয়ে চিন্তা? মুশকিল আসান করল মেট্রো]
রামনবমীর মিছিল থেকে অশান্তি ছড়িয়ে হাওড়া ও রিষড়ায় যে পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে, তা এড়াতে হনুমান জয়ন্তী শান্তিপূর্ণভাবে পালন করতে মরিয়া প্রশাসন। আর তাই জরুরি বৈঠকে এত পদক্ষেপ। হনুমান জয়ন্তীর আগের দিনই বিশেষ বার্তা দিয়েছেন রাজ্যপালও। তিনি বলেন, কেন্দ্র, রাজ্য ও রাজভবন একসঙ্গে কাজ করছে। অশান্তি দেখলেই কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে দোষীদের বিরুদ্ধে। শান্তিপূর্ণভাবে হনুমান জয়ন্তী পালন করতে হবে।