ক্ষীরোদ ভট্টাচার্য: করোনা (Coronavirus) অতিমারী সামলে আপাতত রাজ্য অনেকটাই সুস্থ। কিন্তু নতুন বিপদ হয়ে দেখা দিয়েছে ডেঙ্গু (Dengue)। মশাবাহিত এই রোগে বঙ্গে রোজই অন্তত একজনের মৃত্যু হচ্ছে। তবে সোমবারের পরিসংখ্যান খানিকটা উদ্বেগজনক। স্বাস্থ্যদপ্তরের পরিসংখ্যান বলছে, গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু তিনজনের প্রাণ কেড়েছে। সকলেরই বয়স তিরিশ থেকে চল্লিশের মধ্যে। ডেঙ্গু পরিস্থিতি নিয়ে এদিন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী মনসুখ মাণ্ডব্যকে চিঠি লিখেছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)।
সোমবার সকালে সল্টলেকের আমরি (AMRI) হাসপাতালে মৃত্যু হয়েছে কেষ্টপুরের (Kestopur) বাসিন্দা বছর ছত্রিশের সোমনাথ দে’র। তিনি ৫ তারিখ NS1 পজিটিভ হয়ে ভরতি হন হাসপাতালে। পরে একাধিক অঙ্গ বিকল হয়ে মৃত্যু হয়। ট্যাংরায় ডেঙ্গুর থাবায় প্রাণ হারিয়েছেন এক সাফাইকর্মী বুবাই হাজরা। তিনি এক সপ্তাহ ধরে এনআরএসে ভরতি ছিলেন। এছাড়া আবু সৈয়দ মহলাদার নামে আরেকজনের মৃত্যু হয়েছে। এছাড়া আর জি কর থেকে রিংকি ভট্টাচার্য নামে এক অন্তঃসত্ত্বা গৃহবধূর মৃত্যুর খবরও মিলেছে। টানা এতজনের মৃত্যুতে উদ্বেগ তো বাড়ছেই, পাশাপাশি পুরসভার (Kolkata Municipal Corporation) ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন উঠছে।
[আরও পড়ুন: সংসার শুরুর ৪ মাসের মধ্যেই সব শেষ, কলকাতায় পথ দুর্ঘটনায় মৃত্যু স্বামীর, গুরুতর জখম বধূ]
স্বাস্থ্যভবনের তরফে জানা গিয়েছে, উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা, নদিয়া, মুর্শিদাবাদ, হাওড়া, হুগলি – এই ৫ জেলাতে ডেঙ্গু সংক্রমণ কার্যত লাগামছাড়া। ঘটনাচক্রে এই পাঁচ জেলাতেই জলাশয়ের পরিমাণ অনেক বেশি এবং বেশিরভাগ জলাশয়ের আশেপাশে মশার আঁতুড়ঘর। তাই এসব জেলায় প্রতিনিধি পাঠিয়ে পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে চান স্বাস্থ্য আধিকারিকরা।
[আরও পড়ুন: জোড়াসাঁকোর হেরিটেজ ভবন ভেঙে TMC অফিস, রবীন্দ্রভারতীর ঘর ভাঙায় নিষেধাজ্ঞা কোর্টের]
এদিকে, রাজ্যের ডেঙ্গু পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগপ্রকাশ করে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রীকে চিঠি পাঠিয়েছেন শুভেন্দু অধিকারী। তাতে রাজ্য সরকারের উদাসীনতা ও পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থতার অভিযোগ তুলেছেন তিনি।