অর্ণব আইচ ও রমণী বিশ্বাস: সরকারি চাকরি দেওয়ার নামে আর্থিক প্রতারণা। রাজ্য পুলিশের দুর্নীতিদমন শাখার হাতে গ্রেপ্তার নদিয়ার তেহট্টের তৃণমূল বিধায়কের (Tehatta’s TMC MLA) আপ্ত সহায়ক-সহ তিনজন। দক্ষিণ ২৪ পরগনার রায়দিঘির একটি হোটেল থেকে গ্রেপ্তার করা হয় তাদের। ধৃতদের শনিবার ব্যাঙ্কশাল আদালতে তোলা হবে।
সূত্রের খবর, রাজ্য পুলিশের দুর্নীতিদমন শাখার আধিকারিকদের কাছে গোপন সূত্রে খবর আসে, রায়দিঘির একটি হোটেলে জড়ো হয়েছে তিনজন। তাদের মধ্যে একজন তেহট্টের তৃণমূল বিধায়ক তাপস সাহার আপ্ত সহায়ক প্রবীর কুমার কয়াল। বাকিরা হল শ্যামল কয়াল এবং সুনীল মণ্ডল। ওই হোটেলে হানা দেন আধিকারিকরা। টাকা নেওয়ার সময় হাতেনাতে গ্রেপ্তার করা হয় তিনজনকে।
[আরও পড়ুন: মসজিদে আত্মঘাতী হামলায় নিহত অন্তত ৫০, রমজানে রক্তাক্ত আফগানিস্তান]
তাদের বিরুদ্ধে লক্ষ লক্ষ টাকা প্রতারণার অভিযোগ রয়েছে। ধৃতদের শনিবারই ব্যাঙ্কশাল আদালতে তোলা হবে। তাদের নিজেদের হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের ভাবনা তদন্তকারীদের। প্রতারণা চক্রের সঙ্গে আর কে বা কারা জড়িত, ধৃতদের জেরা করে সে তথ্য পাওয়া সম্ভব হবে বলেই মনে করা হচ্ছে।
উল্লেখ্য, গত ২০১৬ সাল থেকে তাপস সাহা ছিলেন পলাশিপাড়ার বিধায়ক। তবে বর্তমানে তিনি তেহট্টের বিধায়ক। তাঁর আপ্তসহায়ক হিসাবে কাজ করত প্রবীর কুমার কয়াল। সেই সময় থেকে চাকরি দেওয়ার নামে প্রবীর আর্থিক দুর্নীতি করত বলে অভিযোগ। তবে সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেন তেহট্টের তৃণমূল বিধায়ক তাপস সাহা। প্রবীর কুমার কয়ালকে আপ্ত সহায়ক হিসাবে মানতে নারাজ তিনি। বিধায়কের কথায়, বলেন, “প্রবীর কোনওদিনই আমার আপ্ত সহায়ক ছিল না। শ্যামল কয়াল এবং সুনীল মণ্ডলকে কোনওদিন আমি চিনি না। যারা দোষী তাদের অবশ্যই শাস্তি পাওয়া উচিত।”