সুকুমার সরকার, ঢাকা: বাংলাদেশের মাদ্রাসা থেকে নিখোঁজ তিন ছাত্রী। রহস্যের সমাধানে তৎপর হয়েছে পুলিশ। ইতিমধ্যে মাদ্রাসার চার শিক্ষককে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে বলে খবর।
[আরও পড়ুন: বিবাহিত যুবকের সঙ্গে প্রেম-বিয়ে, মর্মান্তিক পরিণতি সপ্তম শ্রেণির ছাত্রীর]
পুলিশ সূত্রে খবর, জামালপুরে দারুত তাক্বওয়া মহিলা মাদ্রাসার তিন ছাত্রী নিখোঁজ। ইসলামপুর উপজেলার গোয়ালেরচর ইউনিয়নের বাংলাবাজার এলাকার এই মাদ্রাসার ৯, ১০ ও ১১ বছর বয়সী দ্বিতীয় শ্রেণির এই ছাত্রীরা নিখোঁজ হওয়ার ঘটনায় সোমবার তাদের স্বজনরা থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। তারপরই মাদ্রাসার চার শিক্ষককে আটক করা হয়েছে। এক পুলিশ আধিকারিক জানিয়েছেন, গত রবিবার থেকেই নিখোঁজ ওই পড়ুয়ারা। ২০২০ সালে প্রতিষ্ঠিত এই মহিলা মাদ্রাসার সরকারি অনুমোদন নেই। ফলে মাদ্রাসা বন্ধ করে ছাত্রীদের অবিভাবকের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। তাছাড়া এই ঘটনায় মাদ্রাসার মুহতামিম মহম্মদ আসাদুজ্জামান, সহকারী শিক্ষক ইলিয়াস হোসেন, রাবেয়া আক্তার ও শুকরিয়া আক্তারকে আটক করা হয়েছে। আর নিখোঁজ ছাত্রীদের উদ্ধারের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে পুলিশ।
বলে রাখা ভাল, কয়েকদিন আগেই বাংলাদেশের মাদ্রাসায় ধর্ষণের শিকার ১০ বছরের শিশু। গ্রেপ্তার করা হয়েছে অভিযুক্ত শিক্ষককে। ওই ঘটনায় শোরগোল পড়ে যায় দেশজুড়ে। কিশোরগঞ্জে ১০ বছরের মাদ্রাসার ছাত্রকে ধর্ষণ মামলায় অভিযুক্ত শিক্ষক বেলাল হোসেন ওরফে বিল্লালকে গ্রেপ্তার করা হয়। ময়মনসিংহের গৌরীপুর উপজেলার বিশ্বনাথপুর এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করে বাংলাদেশের এলিট বাহিনী ‘র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন’ বা র্যাব।
উল্লেখ্য, বাংলাদেশের (Bangladesh) মাদ্রাসাগুলিতে ধর্ষণ যৌন নির্যাতনের ঘটনা বেড়েই চলেছে। ২০১৯ সালে মাদ্রাসা পড়ুয়া নুসরত জাহান ধর্ষণ ও হত্যা মামলায় রীতিমতো স্তব্ধ হয়ে যায় দেশ। সোনাগাজি ইসলামিয়া ফাজিল (ডিগ্রি) মাদ্রাসার অধ্যক্ষ সিরাজ-উদ-দৌলা নিজের ঘরে ডেকে নিয়ে নুসরতের শ্লীলতাহানি করে। এই ঘটনায় নির্যাতিতার মা শিরিনা আক্তার বাদী হয়ে সোনাগাজী থানায় মামলা করলে অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। তারপরই নির্যাতিতার পরিবারের উপর মামলা তুলে নেওয়ার চাপ বাড়তে থাকে৷ মামলা তুলতে রাজি না হওয়ায়, গত ৬ এপ্রিল মাদ্রাসার ছাদে ডেকে নিয়ে গিয়ে তাঁর গায়ে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়৷ বেশ কয়েকদিন যমে-মানুষে টানাটানির পর হাসপাতালেই মারা যান নুসরত৷