মাসুদ আহমেদ, শ্রীনগর: বর্ষবরণের ঠিক আগে ফের উত্তপ্ত কাশ্মীর (Kashmir)। এনকাউন্টারে ৩ জঙ্গিকে খতম করল কাশ্মীর পুলিশ (Kashmir Police) এবং সেনার যৌথ বাহিনী। তবে জঙ্গিদের (Terrorist) গুলিতে আহত হয়েছেন ১ সিআরপিএফ জওয়ান ও ৩ পুলিশকর্মী। তাঁদের হাসপাতালে ভরতি করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার গভীর রাতে উপত্যকার পাঠানচক এলাকায় গুলির লড়াই শুরু হয় জঙ্গি ও যৌথ বাহিনীর। সেই সময়ই বাহিনীর গুলিতে নিকেশ হয় ৩ জঙ্গি। ঘটনাস্থল থেকে প্রচুর পরিমাণে অস্ত্রশস্ত্র উদ্ধার হয়েছে। পুলিশ এখনও এলাকা ঘিরে রেখেছে। আর কোনও জঙ্গি লুকিয়ে আছে কিনা দেখতে তল্লাশি চালানো হচ্ছে। আহত পুলিশকর্মী ও জওয়ানকে দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। তাঁরা সেখানে চিকিৎসাধীন রয়েছেন বলে জানা গিয়েছে। মৃত জঙ্গিদের মধ্যে একজনকে শনাক্ত করা গিয়েছে। তার নাম সোহেল আহমেদ রাঠের। সে জইশ-ই-মহম্মদের সদস্য ছিল। বাকি দু’জনের পরিচয় এখনও জানা যায়নি।
[আরও পড়ুন: Omicron: দেশে ওমিক্রনের প্রথম বলি মহারাষ্ট্রের প্রৌঢ়]
উল্লেখ্য, বুধবার নওগাম এবং কুলগামে এনকাউন্টারে ৬ জেহাদিকে খতম করেছিল যৌথ বাহিনী। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে বুধবার রাত থেকে কাশ্মীরের বিভিন্ন প্রান্তে তল্লাশি অভিযান শুরু করে কাশ্মীর পুলিশ এবং সেনার যৌথ বাহিনী। মূলত নওগাম এবং কুলগামের বিভিন্ন এলাকায় এই তল্লাশি অভিযানগুলি চালানো হয়। তাতে সব মিলিয়ে ৬ জন জইশ-ই-মহম্মদ জঙ্গি নিকেশ হয় বলে খবর। এই ছয় জেহাদির মধ্যে দু’জন আবার পাক নাগরিক।
বস্তুত, শীতকালে তুষারপাতের মরশুমে সীমান্তের অপার থেকে নতুন করে জঙ্গি অনুপ্রবেশ না হলেও কাশ্মীরে আগে থেকে ঢুকে থাকা পাক জঙ্গিরা এখনও স্থানীয় যুবকদের বিভ্রান্ত করে সন্ত্রাসের রাস্তায় নামানোর চেষ্টা করছে। সেই জঙ্গি চক্র নির্মূল করতে চলতি মাসের শুরু থেকেই সক্রিয় কাশ্মীর পুলিশ এবং সেনা। এই মাসে এই নিয়ে তৃতীয় বড় সাফল্য পেলেন নিরাপত্তারক্ষীরা। ২৫ ডিসেম্বর বড়দিনের রাতেই ৫ জেহাদিকে খতম করে সেনা।