সৌরভ মাজি, বর্ধমান: বালির লরি চাপা পড়ে মৃত্যু হল একই পরিবারের তিনজনের। আর এই দুর্ঘটনাকে (Accident) কেন্দ্র করে কার্যত রণক্ষেত্রের চেহারা নিল পূর্ব বর্ধমান জামালপুর (Jamalpur) থানার কুলির মুইদিপুর গ্রাম। দেহ আটকে ঘণ্টার পর ঘণ্টা বিক্ষোভ করেন স্থানীয়রা। পরিস্থিতি সামাল দিতে গেলে বিক্ষোভের মুখে পড়ে পুলিশও। গাড়ি ভাঙচুর করা হয়। এমনকী বাঁধ থেকে নিচেও ফেলে দেওয়া হয় পুলিশের গাড়িটি।
গলসির ঘটনার পুনরাবৃত্তি যেন জামালপুরে। বৃহস্পতিবার রাতে পূর্ব বর্ধমান জামালপুর থানার কুলির মুইদিপুর গ্রামে বালি বোঝাই লরি উলটে যায় দামোদরের বাঁধের রাস্তার ধারে থাকা একটি বাড়ির উপরে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। শুরু করে উদ্ধারকাজ। প্রাথমিকভাবে পুলিশের অনুমান, অন্ততপক্ষে চারজন বাড়ির নিচে চাপা পড়েছিলেন। তবে পুলিশ সূত্রে খবর, এই ঘটনায় একই পরিবারের তিনজন মারা গিয়েছেন।
[আরও পড়ুন: এক ফোনেই ‘চুপ’ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়, আচমকাই স্থগিত হুগলি জেলা কমিটি ঘোষণা]
পুলিশের উদ্ধারকাজ চলার মাঝেই এলাকায় ব্যাপক উত্তেজনা তৈরি হয়। স্থানীয়দের অভিযোগ, চালক মদ্যপ অবস্থায় ছিল। বেহুঁশ অবস্থায় গতি নিয়ন্ত্রণ করতে না পারার ফলে এই বিপত্তি ঘটেছে। নিহতদের পরিবারকে আর্থিক সাহায্য দিতে হবে। এছাড়া ওই এলাকা দিয়ে বালিবোঝাই লরি চলাচল অবিলম্বে বন্ধ করতে হবে। দাবিপূরণ না হওয়া পর্যন্ত দেহ পুলিশকে দেওয়া হবে না বলেও জানান স্থানীয়রা। দেহ আগলে বসে ঘণ্টার পর ঘণ্টা বিক্ষোভও দেখান তাঁরা। পুলিশ তাঁদের আশ্বস্ত করতে গেলে পরিস্থিতি আরও বড়সড় আকার নেয়। বালিখাদানের কার্যালয় এবং একটি লরিতে আগুনও লাগিয়ে দেন বিক্ষোভকারীরা। পুলিশের সঙ্গে বচসাতেও জড়িয়ে পড়েন তাঁরা। ভাঙচুর করা হয় পুলিশের গাড়িতেও। বাঁধ থেকে একেবারে নিচে ফেলে দেওয়া হয় পুলিশের গাড়ি। এখনও পর্যন্ত এলাকায় উত্তেজনা রয়েছে। শুক্রবার সকালেও দু’টি দেহ উদ্ধার করতে পারেনি পুলিশ। নতুন করে যাতে আর কোনও অশান্তি তৈরি না হয় তাই এলাকায় বিশাল পুলিশবাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে।