অর্ণব আইচ: করোনার (Corona Virus) জেরে সব রেস্তরাঁ, বার বন্ধের নির্দেশ দিয়েছে রাজ্য সরকার। এর মধ্যেই রমরমিয়ে চলছে হুক্কা বার। দিন চারেক আগে কয়েকজন নেশাগ্রস্ত যুবকের গাড়ির ধাক্কায় আহত হন এক পুলিশ কর্মী এবং মারা যান এক ফুটপাতবাসী। আরও ৪ জন আহত হন সেই ঘটনায়। দুর্ঘটনার আগে কসবার একটি হুক্কা বারে গিয়েছিলেন সেই যুবকরা। কড়েয়া থানায় এই ঘটনার খবর পৌঁছতেই ঘটনাস্থলে গিয়ে ওই বারের ম্যানেজার এবং অভিযুক্ত ২ নেশাগ্রস্ত যুবককে গ্রেপ্তার করা হয়। কিন্তু সেই ঘটনাও যে হুক্কা বার মালিকদের থামাতে পারেনি, তা ফের একবার সামনে এল। এবার শরৎ বোস রোড, সেখানেও রমরমিয়ে চলছিল হুক্কা বার। সোমবার রাত্রে পুলিশ হানা দিয়ে বারের ম্যানেজার-সহ ৩ জনকে গ্রেপ্তার করেছে। বাজেয়াপ্ত হয়েছে বেশ কিছু সামগ্রী।
লালবাজার (Lalbazar) সূত্রে জানা গিয়েছে, সোমবার রাত্রে গোপন সূত্রে খবর আসে শরৎ বোস রোডে একটি হুক্কা বার চলছে। সামনের দিকে মূল দরজা বন্ধ থাকলেও পিছনের দরজা দিয়ে ক্রেতাদের ঢোকার বন্দোবস্ত করা হয়েছিল। খবর পেয়েই লালবাজারে গুন্ডা দমন শাখা অভিযানে নামে। শরৎ বোস রোডে একটি হোটেলের বেসমেন্টে চলছিল হুক্কা বারটি। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে বারটির নাম ডন টাউন ক্যাফে।
[আরও পড়ুন: ‘আমাকে ধাক্কা মেরে ছেলেকে কেড়ে নিয়েছিল অভিনব’, সিসিটিভি ফুটেজ দেখিয়ে বিস্ফোরক অভিযোগ শ্বেতা তিওয়ারির]
লালবাজারে গুন্ডা দমন শাখা সোজা সেই বারে পৌঁছে যায়। পুলিশ যখন সেখানে পৌঁছয় তখন অন্তত ১০ জন ক্রেতা ছিলেন সেখানে। সঙ্গে সঙ্গে পুলিশ বার বন্ধ করে দেয়। এবং পুলিশ সেখান থেকে হুক্কা বারটির ম্যানেজার এবং আরও ২ জনকে গ্রেপ্তার করে। আরও ২ জনের খোঁজ চলছে বলে জানিয়েছে লালবাজার। ঘটনাস্থল থেকে হুক্কা, ছিলিম, তামাক-সহ বেশ কিছু নেশার জিনিস বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। এবং অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে একাধিক ধারায় মামলা রুজু করা হয়েছে বালিগঞ্জ থানায়।