সুব্রত বিশ্বাস: নির্বাচনের আগে বিজেপির ব্রিগেড। মধ্যমণি নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। ফলে সেই জনসভায় জনস্রোতের অভাব যাতে না হয় সেজন্য সমর্থকদের আনতে ট্রেন ভাড়া নিচ্ছে দল।
তিনটি বিশেষ ট্রেনের জন্য ইতিমধ্যে তারা আরজি জানিয়েছে আইআরসিটিসিকে। তিনটির মধ্যে আলিপুরদুয়ার, মালদহ ও অন্যটি উত্তর দিনাজপুরের হরিশ্চন্দ্রপুর থেকে। যা বালুরঘাটের অনতিদূরে। মালদহ ও আলিপুরদুয়ার থেকে হাওড়া পর্যন্ত এই বিশেষ ট্রেনের জন্য ২২ বগির রেক চাওয়া হয়েছে। যার জন্য ভাড়া দিতে হবে প্রায় ২৬ ও ২২ লক্ষ টাকা। হরিশচন্দ্রপুরের থেকে ১৬ কামরার রেকটি শিয়ালদহের জন্য চাওয়া হয়েছে। যার ভাড়া পড়বে প্রায় আঠারো লক্ষ টাকা বলে জানা গিয়েছে। ট্রেন তিনটি গন্তব্যে এসে ১৮ ঘণ্টা অপেক্ষা করবে হাওড়া, শিয়ালদহের দুই সাইডিংয়ে। অপেক্ষার সময় পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন করা ও জল ভরে দেওয়ার দায়িত্ব নেবে রেলই।
[আরও পড়ুন: বিধান পরিষদ কতটা আইনসঙ্গত? মুখ্যমন্ত্রীর ঘোষণায় প্রশ্ন শমীক ভট্টাচার্য, কটাক্ষ বাবুলের]
বিজেপির পক্ষ থেকে সংশ্লিষ্ট কর্পোরেট সংস্থার কাছে আলিপুরদুয়ার, মালদহ ও হরিশ্চন্দ্রপুর থেকে হাওড়া ও শিয়ালদহের জন্য তিনটি ট্রেন ভাড়া নিতে চেয়েছে বিজেপি। সাধারণ ট্রেনের যা ভাড়া এক্ষেত্রে তার থেকে ১০ শতাংশ বেশি ভাড়া নেওয়া হয়। আইআরসিটিসি (IRCTC) সূত্রে বলা হয়েছে, আইন মেনে সেই বাড়তি ভাড়া চাওয়া হয়েছে। শনিবার রাতে ট্রেনগুলি নির্ধারিত স্টেশন থেকে ছেড়ে হাওড়া ও শিয়ালদহে আসবে পরের দিন ভোরে। সেখানে সমর্থকদের নামিয়ে সাইডিংয়ে অপেক্ষা করে ফের রাতে সমর্থকদের নিয়ে নির্দিষ্ট গন্তব্যের দিকে রওনা দেবে। কোভিড (COVID-19) নীতি মেনে সব ট্রেনে যখন সংরক্ষিত কামরা নিয়ে চলছে তখন এই স্পেশ্যাল ট্রেনে সমর্থকদের ভিড়ে দূরত্ব বিধি শিকেয় উঠবে বলে বিরোধীদের অভিযোগ। যদিও বিজেপির পক্ষ থেকে স্পষ্ট করে বলা হয়েছে, সব বিধি মেনেই সমর্থকরা ব্রিগেডে যোগ দেবেন।