অরিজিৎ গুপ্ত, হাওড়া: আমফানের (Amphan) ত্রাণ নিয়ে তৃণমূল নেতাকর্মীরা দুর্নীতি করছে বলে বারবার অভিযোগের শুরু চড়িয়েছে বিরোধীরা। যদিও বিরোধীদের জবাব দিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) আগেই ঘোষণা করেছেন দুর্নীতিগ্রস্তদের রেয়াত করা হবে না। দলনেত্রীর নির্দেশ অনুযায়ী দলের বেশ কয়েকজনকে শোকজ করা হয়েছে ইতিমধ্যেই। এবার সরাসরি হাওড়ার তিন নেতাকে সাসপেন্ড করল তৃণমূল।
দিনকয়েক আগে রাজ্যের মন্ত্রী তথা হাওড়া জেলা তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি অরূপ রায় (Arup Roy) পাঁচ নেতাকে শোকজ করার কথা জানান। তাঁরা হলেন, ডোমজুড়ের মাকড়দহ ১ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান কাজল সর্দার, উত্তর ঝাপরদহ গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান সুভাষ পাত্র এবং গ্রাম পঞ্চায়েতের উপ-প্রধানের স্বামী সুমন ঘোষাল, জগৎবল্লভপুরের পাঁতিহাল গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান বেচারাম বসু এবং সাঁকরাইল পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি জয়ন্ত ঘোষ। তাঁদের প্রত্যেকেরই বিরুদ্ধে আমফানের ত্রাণের টাকা নিয়ে দুর্নীতির অভিযোগ ওঠে।
[আরও পড়ুন: কোয়ারেন্টাইন সেন্টারে মহিলার ‘যৌন নিগ্রহ’ ভিলেজ পুলিশের, রণক্ষেত্র ঢোলাহাট]
সেই অভিযোগ এখন প্রমাণিত হয়েছে। তারপরই আরও কড়া দল। অরূপ রায় জানিয়ে দেন ত্রাণ দুর্নীতিতে জড়িত থাকায় তিনজনকে সাসপেন্ড করা হল। তিনি বলেন, “আমফানের ত্রাণ নিয়ে দুর্নীতি করার দায়ে সাঁকরাইল পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য জয়ন্ত ঘোষ, পাঁতিহাল গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান বেচারাম দাস এবং উত্তর ঝাঁপরদহের পঞ্চায়েত উপ-প্রধানের স্বামী সুমন ঘোষালকে সাসপেন্ড করা হল। যে যে পদে তাঁরা রয়েছেন সেখান থেকে তাঁদের অবিলম্বে পদত্যাগ করতে বলা হয়েছে। পদত্যাগ না করলে তাঁদের বিরুদ্ধে নেওয়া হবে আইনানুগ ব্যবস্থাও।”
এছাড়াও আমফানের ত্রাণ বিলির ক্ষেত্রে স্বজনপোষণের অভিযোগে শোকজ করা হয়েছে বড়গাছিয়া দু’নম্বর পঞ্চায়েতের প্রধান শবনম সুলতানা এবং জগৎবল্লভপুর এক নম্বর পঞ্চায়েতের উপপ্রধান শেখ নুর হোসেনকেও। যত তাড়াতাড়ি সম্ভব তাঁদের উত্তর জানাতে বলা হয়েছে। উত্তর জানানোর পরই পরবর্তী পদক্ষেপ নেবে দল।
[আরও পড়ুন: লকডাউন উপেক্ষা করে মাস্ক ছাড়া বেরনোর শাস্তি, কান ধরে ওঠবস করাল পুলিশ]
The post আমফানের ত্রাণ দুর্নীতিতে কড়া শাস্তি, সাসপেন্ড হাওড়ার ৩ তৃণমূল নেতা appeared first on Sangbad Pratidin.