সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: গোটা দেশ শিউরে উঠেছে তার নিস্পৃহ নৃশংসতা দেখে। প্রেমিকাকে খুন করে দেহটি ৩৫ টুকরো করে ৩০০ লিটারের ফ্রিজে ভরে রাখার মতো কাণ্ড করার পরও (Shraddha Murder Case) কোনও আক্ষেপ নেই আফতাব পুনাওয়ালার। কিন্তু এহেন শীতল মস্তিষ্কের খুনিই জেলে বসে মন দিয়েছে বই পড়ায়! জেল কর্তৃপক্ষের তরফ থেকে তেমনটাই জানানো হয়েছে। আপাতত বিচারবিভাগীয় হেফাজতে রয়েছে সে। থাকতে হচ্ছে তিহার জেলে। আর সেখানে নিজের কুঠুরিতে বসে বই পড়তেই দেখা যাচ্ছে তাকে। আবার সে একা একা দাবাও খেলছে বলে জানা গিয়েছে।
জেলের এক কর্মী জানাচ্ছেন, ”প্রোটোকল মেনেই আমরা বন্দির দেখাশোনা করছি। আফতাব আমাদের থেকে ইংরাজি ও অন্যান্য বই চাইছে পড়বে বলে। সে জানিয়েছে, আরও বেশি করে পড়ায় ডুব দিতে চায় সে। আপাতত আমরা ওকে পল থেরক্সের ‘দ্য গ্রেট রেলওয়ে বাজার’ পড়তে দিয়েছি। আমাদের লাইব্রেরি থেকেই বইটা দেওয়া হয়েছে। পড়া হলে আরও বই ওকে দেওয়া হবে।”
[আরও পড়ুন: কাঁথির সভার আগে মাঝরাস্তায় গাড়ি থেকে নামলেন অভিষেক, গ্রামে ঘুরে শুনলেন অভিযোগ]
সেই সঙ্গে বাড়তি সতর্কতাও অবলম্বন করা হয়েছে আফতাবের জন্য। কড়া নজরদারিতে রাখা হয়েছে তাকে। দেখা হচ্ছে নিরাপত্তার দিকটিও। কেননা জেলে তার উপরে হামলার আশঙ্কা উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না। কিন্তু জেলের সেলে বসে আফতাবকে দেখলে সেসব বোঝার উপায় নেই। সে নির্লিপ্তের মতো বই পড়তেই ব্যস্ত।
দিল্লির মেহেরৌলিতে প্রেমিকা শ্রদ্ধা ওয়ালকরকে খুন করে তাঁর প্রেমিক আফতাব আফতাব পুনাওয়ালা। খুনের পর লিভ-ইন সঙ্গীর দেহ ৩৫টি টুকরো করে সে। প্রথমে তা রেখে দেয় ফ্রিজে। এরপর দিল্লির বিভিন্ন জায়গায় তা ফেলতে থাকে সে। আফতাবকে ভালবেসে পরিবার, চাকরি, শহর ছেড়ে দিল্লিতে চলে এসেছিল তরুণী। যদিও তাঁর পরিণতি হয় মর্মান্তিক।
পলিগ্রাফ টেস্টে শ্রদ্ধাকে খুনের কথা স্বীকার করেছে আফতাব। এমনকী নিজের লিভ-ইন পার্টনারের দেহ টুকরো টুকরো করে জঙ্গলে ফেলে আসার কথাও মেনে নিয়েছে অভিযুক্ত। একাধিক মহিলার সঙ্গে তার সম্পর্কের কথাও অস্বীকার করেনি সে। গোটা বিষয়টি নিয়ে তার কোনও আক্ষেপ নেই বলেও জানিয়ে দেয় আফতাব। ল্যাব আধিকারিকরা জানিয়েছেন, পলিগ্রাফ টেস্টের সময় স্বাভাবিক আচরণই করছিল সে। শান্ত ভাবে শ্রদ্ধা খুনের গোটা ঘটনা খুলে বলেছে।