সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বাবা এবং ছেলে। সকাল থেকে দুজনেরই বিভিন্ন ঠিকানায় তল্লাশি চালাচ্ছে সিবিআই। কিন্তু কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার এই তল্লাশি অভিযানে পি চিদম্বরম (P Chidamabram) বা কার্তি চিদম্বরম, কেউই তেমন বিচলিত নন। বরং পালটা আক্রমণের পথে হাঁটলেন দুই কংগ্রেস নেতাই।
সিবিআই সূত্রের খবর, ৫০ লক্ষ টাকার বিনিময়ে ২৫০ জন চিনা নাগরিককে বেআইনিভাবে ভিসা পাইয়ে দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে কার্তি চিদম্বরমের বিরুদ্ধে। যার জেরে মঙ্গলবার সকাল থেকে দিল্লি, মুম্বই, চেন্নাই ও তামিলনাড়ুতে চিদম্বরমের বাড়ি ও কার্যালয়ে জোরদার তল্লাশি চালিয়েছে সিবিআই। কার্তির (Karti Chidamabram) বিরুদ্ধে অভিযোগ একটি, দু’টি নয়। বাবা কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী থাকাকালীন বিদেশি অর্থের বিনিময়ে INX মিডিয়ার অনুমোদন পাইয়ে দেওয়ার অভিযোগে গোড়ায় তাঁর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের হয়। অভিযোগ, ৩০৫ কোটি টাকা ওই বিদেশি সংস্থার কাছ থেকে হাতিয়েছিলেন কার্তি। তার সঙ্গে আবার যুক্ত হল এই বেআইনি ভিসা ইস্যু।
[আরও পড়ুন: বৈবাহিক ধর্ষণ কি অপরাধ? দ্বিধাবিভক্ত হাই কোর্টের বিচারপতিরা, সুপ্রিম কোর্টে দায়ের মামলা]
যদিও মঙ্গলবারের সিবিআই (CBI) তল্লাশি নিয়ে বিচলিত নন পি চিদম্বরম। টুইটে তিনি জানিয়েছেন,”আজ সকালে সিবিআইয়ের একটি দল আমার চেন্নাইয়ের বাড়ি এবং দিল্লিতে আমার সরকারি বাসভবনে তল্লাশি চালিয়েছে। ওঁরা আমাকে একটি এফআইআর কপি দেখিয়েছে, যাতে অভিযুক্ত হিসাবে আমার নাম নেই। সিবিআইয়ের ওই দলটি তল্লাশি চালিয়ে কিছু পায়নি। ওঁরা কিছু বাজেয়াপ্তও করেনি। তবে, একটা কথা আমি বলতে পারি, তল্লাশি চালানোর সময়টা বেশ তাৎপর্যপূর্ণ।” কার্তির আবার দাবি, “সিবিআই হয়তো আমার বাড়িতে তল্লাশির রেকর্ড করে ফেলল। আমি গুণতেও পারব না, কতবার হল।”
[আরও পড়ুন: ভারতীয় অর্থনীতির মন্দা অব্যাহত, বাজার খুলতেই টাকার দামে সর্বকালীন পতন]
প্রসঙ্গত, পি চিদম্বরম এবং কার্তি চিদম্বরম দু’জনেই আগে গ্রেপ্তার হয়েছিলেন। ২০১৭ সালে কার্তির বিরুদ্ধে সিবিআই আর্থিক তছরূপের মামলা দায়ের করে। পাশাপাশি এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটও (ED) অর্থ নয়ছয়ের মামলায় তদন্তে নামে। ২০১৮ সালে কার্তিকে গ্রেপ্তার করে সিবিআই। তবে পরে জামিনে মুক্তি পান তিনি। একইভাবে পি চিদম্বরম ২০১৯ সালে গ্রেপ্তার হন। বেশ কয়েকমাস জেলের ঘানি টানতে হয়েছে তাঁকেও।