প্রণব সরকার, আগরতলা: বিধানসভা ভোটের পর তিপ্রা মোথাকে জোটবার্তা দিয়েছিলেন অমিত শাহ (Amit Shah)। তাদের দাবিদাওয়া নিয়ে বৈঠকও করেছিলেন শাহ। মেনে নেওয়ার ইঙ্গিতও মিলেছিল। কিন্তু তারপরও ত্রিপুরায় (Tripura) তিপ্রা মোথা ও বিজেপির সম্পর্কের বরফ গলল না। বিধানসভার অধ্যক্ষ নির্বাচনে সেই ফাটল আরও একবার স্পষ্ট হল। কারণ, বিধানসভার অধ্যক্ষ বা স্পিকার বাছাইয়ের ক্ষেত্রে বাম-কংগ্রেসের সঙ্গে জোট বাঁধল প্রদ্যোৎ দেববর্মার দলও।
ত্রিপুরার বিধানসভা অধ্যক্ষ নির্বাচনে সব বিরোধী দল একজোট হয়েছে। কংগ্রেস, সিপিএম এবং তিপ্রা মোথা জোট বেঁধে প্রার্থী করেছেন কংগ্রেস বিধায়ক গোপাল রায়কে। পেশায় আইনজীবী গোপালচন্দ্র রায়ের নাম ঘোষণা করেছেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি বীরজিত সিনহা। তিনি বলেছেন, “সিপিএম ছাড়াও তিপ্রা মোথাও কংগ্রেস প্রার্থীকে সমর্থন করেছেন।”
[আরও পড়ুন: পঞ্চায়েত ভোটের আগে এপ্রিলে টানা জেলা সফরে অভিষেক, রয়েছে মোট ৫ সভা]
৬০ সদস্যের বিধানসভায় বিরোধী দলের বিধায়ক সংখ্যা ২৭। অন্যদিকে শাসকদলের বিধায়ক রয়েছে ৩৩। এর মধ্যে আবার কেন্দ্রীয় মন্ত্রী প্রতিমা ভৌমিক বিধায়ক পদ থেকে পদত্যাগ করেছেন। এদিকে কংগ্রেস বিধায়ক সুদীপ রায় বর্মন সংসদীয় রাজনীতি থেকে অবসর নেওয়ার কথা ঘোষণা করলেও রাজনীতিতে সক্রিয় থাকবেন বলে জানিয়েছেন।
আগামী ২৪ মার্চ অধ্যক্ষ পদে নির্বাচন। অধ্যক্ষ নির্বাচনে বিজেপির জয় নিশ্চিত হলেও বিরোধীরা ঐক্যবদ্ধ হওয়ায় আগামীদিনে বিভিন্ন ইস্যুতে চাপে পড়তে হবে শাসক জোটকে। বিরোধী সূত্রে জানা গিয়েছে, তিন দল বিভিন্ন ইস্যুতে সরকারকে চাপে রাখার কৌশল নিয়েছে। এদিকে তিপ্রা মোথার চেয়ারম্যান প্রদ্যোৎ কিশোর দেববর্মণ রাজ্যের জনজাতিদের উন্নয়নের জন্য মধ্যস্থতাকারী নিয়োগের জন্য কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ’র সাথে একাধিকবার আলোচনা করেছেন। খুব শীঘ্রই মধ্যস্থতাকারী নিয়োগ হবে বলে আশাবাদী তিনি।