সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: তিরুপতি মন্দিরের প্রসাদী লাড্ডু ঘিরে দেশে শোরগোল তুঙ্গে। ল্যাব রিপোর্ট অনুযায়ী, লাড্ডুতে পাওয়া গিয়েছে গরুর চর্বি, মাছের তেল! এনিয়ে অন্ধ্রপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী চন্দ্রবাবু নাইডু তোপ দেগেছেন প্রাক্তন ওয়াইএসআর কংগ্রেস সরকারকে। এবার এই লাড্ডু বিতর্ক গড়াল সুপ্রিম কোর্টে। সূত্রের খবর, ধর্মীয় অধিকার রক্ষার দাবি জানিয়ে শীর্ষ আদালতে পিটিশন ফাইল করা হয়েছে।
তিরুপতির প্রসাদী লাড্ডু নিয়ে জোর জল্পনার মাঝেই শুক্রবার পিটিশন দাখিল করা হয় সুপ্রিম কোর্টে। মামলাকারীদের অভিযোগ, এই ঘটনায় হিন্দু ধর্মীয় রীতিনীতি লঙ্ঘন করা হয়েছে। প্রসাদকে একটি পবিত্র আশীর্বাদ মনে করেন এমন অসংখ্য ভক্তের অনুভূতি গভীরভাবে আঘাত পেয়েছে। ধর্মীয় অধিকার রক্ষার দাবি জানিয়ে আদালতে মামলাকারীদের আবেদন, প্রসাদে পশুর চর্বির উপস্থিতি মন্দির প্রশাসনের সবচেয়ে বড় ত্রুটি। হিন্দু ধর্মের পবিত্রতা যেন রক্ষা করা হয়। দ্রুত যেন পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়।
উল্লেখ্য, গত বুধবার চন্দ্রবাবু নায়ডু ওয়াই অভিযোগ তোলেন এসআর কংগ্রেসের শাসনকালে লাড্ডুতে পশুর চর্বি ব্যবহার করা হত। মেশানো হত মাছের তেলও। কিন্তু তিনি ক্ষমতায় আসার পর পরিবর্তন করে খাঁটি ঘি দিয়ে তৈরি হচ্ছে শ্রী ভেঙ্কটেশ্বর মন্দিরের প্রসাদী লাড্ডু। এহেন অভিযোগের পরই শোরগোল পড়ে যায়। পরে ল্যাবরেটারিতে পরীক্ষা করে দেখা যায়, সত্যিই তিরুপতি মন্দিরের প্রসাদী লাড্ডুতে ব্যবহৃত হচ্ছে গরুর চর্বি, মাছের তেল।
অভিযোগ উঠেছে, অযোধ্যার রামমন্দিরেও তিরুপতি তিরুমালা মন্দির থেকে এক লক্ষ লাড্ডু এসেছিল। সেই লাড্ডু রামভক্তদের মধ্যে বিতরণও করা হয়েছিল। জানা গিয়েছে, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির হাতে রামমন্দির উদ্বোধনের দিন যে ১ লক্ষ লাড্ডু তিরুপতি থেকে গিয়েছিল, তাতে ঘি লেগেছে ২০০০ কেজি। যদিও সেই ঘি-তে পশুর চর্বি বা মাছের তেল ছিল কিনা, তার প্রমাণ এখনও মেলেনি।