দিব্যেন্দু মজুমদার, হুগলি: অনূর্ধ্ব ১৯ টি-টোয়েন্টি মহিলা বিশ্বকাপ (Under 19 Women’s World Cup) ক্রিকেট প্রতিযোগিতায় জয়ী ভারতীয় দলের প্লেয়ার অফ দ্য ম্যাচ ফাস্ট বোলার হুগলির চুঁচুড়ার তিতাস সাধু (Titas Sadhu)। দক্ষিণ আফ্রিকায় আয়োজিত এই ক্রিকেট টুর্নামেন্টে ম্যাচের ফলাফল বদলে দেওয়ার ক্ষেত্রে চুঁচুড়ার তিতাস নিঃসন্দেহে বাংলা তথা ভারতের গর্ব। চার ওভার বল করে মাত্র ছয় রান দিয়ে ইংল্যান্ডের দুই দুইটি মূল্যবান উইকেট তুলে নেয় তিতাস। তাঁর দাপটেই মাত্র ৬৮ রানে অলআউট হয়ে যায় ইংল্যান্ড।
এদিন চুঁচুড়ায় নিজেদের বাড়িতেই তিতাসের পরিবারের লোকজনেরা মোবাইলে খেলা দেখে রীতিমতো উচ্ছ্বাসে ফেটে পড়েন। অনূর্ধ্ব ১৯ ভারতীয় মহিলা ক্রিকেট দল (India Team) এবার বিশ্বকাপে যে ভাল ফল করবে এ সম্পর্কে আগে থাকতে আশাবাদী ছিলেন তিতাসের বাবা ও তার কোচ। ছোট থেকেই ক্রিকেট খেলার প্রতি আকর্ষণ তিতাসের। চুঁচুড়া ময়দানে ক্রিকেটের প্রশিক্ষণ শুরু তার। তিতাসের বাবা রণদীপ সাধু মনে করেন বিদেশের মাটিতে অনেক নাম করা খেলোয়াড়ের সঙ্গে খেলার সুযোগ পেলে মেয়ের অভিজ্ঞতা আরও বাড়বে।
[আরও পড়ুন: মহিলা ক্রিকেটে ইতিহাস, প্রথমবার বিশ্বজয়ী ভারতীয় অনূর্ধ্ব ১৯ ব্রিগেড]
অন্যদিকে তিতাসের মা ভ্রমর দেবী জানান তিতাস সবে খেলা শুরু করেছে। ভালো করছে। এখনো অনেকটা রাস্তা যাওয়া বাকি আছে। ও পরিশ্রম করছে এইটুকু জানি। সর্বোপরি অনূর্ধ্ব ১৯ ভারতীয় মহিলা ক্রিকেট দল বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হওয়ায় তিনি নিজেকে গর্বিত মনে করছেন। তিতাসের ছোটবেলার কোচ দেবদুলাল রায়চৌধুরী জানিয়েছেন, “অন্যদের তুলনায় ওর আত্মবিশ্বাস অনেক বেশি। ও ভালো ফল করবে এটা আগে থাকতেই আশা করেছিলেন। এবারের টুর্নামেন্টে ওর বলে যতগুলো ক্যাচ মিস হয়েছে, ওই ক্যাচগুলো মিস না হলে টুর্নামেন্টে আরও তিন থেকে চারটে উইকেট বাড়ত।”
গত এক বছর ধরে প্রিয়াঙ্কর মুখোপাধ্যায়ের কাছে প্রশিক্ষণ নিচ্ছেন তিতাস। প্রিয়াঙ্কর জানান, “তিতাস খুব ইন্টেলিজেন্ট। কোনও ত্রুটি ধরিয়ে দিলে খুব সহজেই তা ধরতে পারে ও শুধরে নিতে পারে। ওর আরো ভালো করার জায়গা রয়েছে। যদি পারফরম্যান্স অনুযায়ী ঠিকঠাক খেলে তবে আগামী দিনে ভারতীয় মহিলা সিনিয়র দলেও খেলবে তিতাস।” প্রিয়ঙ্করবাবুর দাবি তিতাস ভাল ব্যাটও করে। সুযোগ পেলে ব্যাট হাতেও তার প্রমাণ রাখবে আগামী দিনে।