সুব্রত বিশ্বাস: একুশের সমাবেশে তৃণমূলের অনুষ্ঠানে যোগ দিতে গোটা রাজ্য আজ ধর্মতলামুখী। ভোর থেকে উপচে পড়া ভিড় শহরতলির ট্রেনগুলিতে। সকলের গন্তব্য ধর্মতলার শহিদ মঞ্চ। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে চাপ এতটাই বেড়ে যায় যে,বাঁশ দিয়ে বানানো ব্যারিকেড ভেঙে পড়ে হাওড়া স্টেশন চত্বরে। স্টেশনের দায়িত্বে থাকা স্থানীয় বিধায়ক গৌতম চৌধুরী জানিয়েছেন, লোকসভা ভোটে দলের সাফল্য ও সম্প্রতি উপনির্বাচনে ফলাফলে কর্মীরা উৎসাহী। ভিড় বাড়বে জানাই ছিল। রেল পুলিশের পরিসংখ্যানে সকাল নয়টার মধ্যে ৫৫ হাজারের বেশি মানুষ হাওড়া স্টেশন দিয়ে ধর্মতলামুখী হয়েছেন। একইভাবে শিয়ালদহ স্টেশন দিয়েও লক্ষ মানুষ বিআর সিংয়ের সামনের রাস্তা দিয়ে ধর্মতলার দিকে গিয়েছেন।
তৃণমূল (TMC) দলের সবচেয়ে বড় কর্মসূচি ২১ জুলাই শহিদ দিবস। রাজ্যের নানা প্রান্ত থেকে মানুষজন আসতে শুরু করেছে শনিবার থেকেই। তাদের থাকার জন্য অস্থায়ী শিবির ও সেখানে নিয়ে যেতে বাসের ব্যবস্থা ছিল। হাওড়া (Howrah),শিয়ালদহ দুই স্টেশনের দায়িত্বে ছিলেন জেলার একাধিক ভারপ্রাপ্ত নেতৃত্ব। তারাই বাস ও পায়ে হেঁটে মানুষজনকে যাওয়ার সহযোগিতা করে চলেছেন। রেলও ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক রাখতে সব ব্যবস্থা করেছে। আধিকারিকরা কন্ট্রোলে বসে তদারকি করছেন, ফলে একেবারে সময়ে চলেছে ট্রেন (Local trains)।
[আরও পড়ুন: কোটা মামলায় হাই কোর্টের রায় বাতিলের আবেদন হাসিনা সরকারের! শুনানি রবিবার]
আরণ্যক এক্সপ্রেসে আসা দলীয় কর্মীরা খুশি ট্রেন সময়ে আসার জন্য। আপ বনগাঁ (Bongaon) মাতৃভূমি লোকালে সমস্যা দেখা দেওয়ায় বারাসত স্টেশনে টেকনিশিয়ানের তড়িঘড়ি পরীক্ষা করে ট্রেনটি চালিয়ে দেয়। রেল জানিয়েছে, বড় কোনও অনুষ্ঠায় থাকলে জনসমাগম হয়, এজন্য পরিষেবার যাতে বিঘ্ন না ঘটে সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হয় আমাদের। বেলা পর্যন্ত সব ঠিকঠাক চললেও বৃষ্টির (Rain) কারণে ভিড় বাড়ে স্টেশনগুলোতে। তখন কিছুটা সমস্যা হলেও পরে সবাই ধর্মতলার দিকে যাত্রা শুরু করেন।
[আরও পড়ুন: নিম্নচাপের চোখ রাঙানি, ২১ জুলাই কেমন থাকবে কলকাতার আবহাওয়া?]
তবে অপ্রীতিকর কোনও ঘটনা বেলা পর্যন্ত ঘটেনি। ফেরার পথে সবাই একসঙ্গে ফিরবে। ফলে বিশৃঙ্খলা যাতে না বাড়ে সেদিকে লক্ষ্য রাখছে স্বেচ্ছাসেবক থেকে পুলিশ। ভিড়ের (Crowd) চাপে দলীয় কর্মীরা যাতে দূর পাল্লার ট্রেনগুলির রিজার্ভ কামরাতে না চড়েন সেদিকে লক্ষ্য রেখে পাবলিক অ্যাড্রেস সিস্টেমে আগাম ঘোষণা শুরু করেছে রেল। স্টেশন পরিচ্ছন্ন রাখা, জল ও শৌচালয় যাতে ঠিক থাকে সেজন্য নজরদারি চলছে।