ধ্রুবজ্যোতি বন্দ্যোপাধ্যায়: গঙ্গা আরতি নিয়ে শাসক ও বিরোধীদের মধ্যে চলছে জোর দড়ি টানাটানি। এবার বিজেপি সাংসদ সৌমিত্র খাঁ’র বিরুদ্ধে হিন্দুধর্মের অবমাননার অভিযোগে সরব তৃণমূল। যদিও ঘাসফুল শিবিরের অভিযোগ মানতে নারাজ বিজেপি।
শুক্রবার তৃণমূলের তরফে বাঁকুড়ার বিষ্ণুপুরের বিজেপি সাংসদ সৌমিত্র খাঁ’র গঙ্গা আরতির ভিডিও টুইট করা হয়। টুইটে তৃণমূলের অভিযোগ, “বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার দাবি করেছেন গঙ্গা আরতি তাঁদের করতে দেওয়া হয়নি। অথচ সৌমিত্র খাঁ ভুল পদ্ধতিতে গঙ্গা আরতি করেছেন। প্রথমত, গঙ্গা আরতি নিয়েও বিজেপির দুই নেতার মতামত দু’রকম। দ্বিতীয়ত, আর কতবার বিজেপি হিন্দু ধর্মের অবমাননা করবে?” টুইটারে পোস্ট করা ভিডিওতে সেচ ও জলদপ্তরের মন্ত্রী পার্থ ভৌমিকের গলাতেও শোনা গিয়েছে একই অভিযোগের সুর।
[আরও পড়ুন: পঞ্চব্যাঞ্জনে সাজানো থালা ছুঁলেনও না! স্রেফ ছবি তুলেই গ্রাম ছাড়লেন ‘দিদির দূত’ শতাব্দী]
বৃহস্পতিবার সৌমিত্র খাঁ নরেন্দ্র মোদিকে স্বামী বিবেকানন্দের সঙ্গে তুলনা করেন। তা নিয়ে বিতর্ক মাথাচাড়া দেয়। সেই রেশ কাটতে না কাটতেই ফের ভুল পদ্ধতিতে গঙ্গা আরতি নিয়ে নেটদুনিয়ায় হাসির খোরাক বিজেপি সাংসদ। যদিও এই অভিযোগে আমল দিতে নারাজ গেরুয়া শিবির। পালটা সরাসরি মুখ্যমন্ত্রী দুষেছেন তিনি। বলেন, “তৃণমূল গঙ্গা আরতির খুঁত না ধরে, মুখ্যমন্ত্রীর ভুল মন্ত্রোচ্চারণ নিয়ে ভাবুক।”
উল্লেখ্য, বারাণসীর ধাঁচে কলকাতায় গঙ্গা আরতির ভাবনাচিন্তা শুরু করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এরপর গত সোমবার বিজেপি গঙ্গা আরতি করার সিদ্ধান্ত নেয়। তবে জি-২০ সম্মেলন চলায় বিজেপির গঙ্গা আরতিতে অনুমতি দেয়নি কলকাতা পুলিশ। অনুমতি ছাড়াই জোর করে বাবুঘাটে গঙ্গা আরতির পরিকল্পনা করে পদ্মশিবির। তার জেরে গত মঙ্গলবার দফায় দফায় উত্তপ্ত হয়ে ওঠে বাবুঘাট চত্বর। পুলিশ ও বিজেপি নেতা-কর্মীদের মধ্যে ধস্তাধস্তি হয়। এরপর গত বুধবার আউট্রাম ঘাটে ট্রানজিট পয়েন্টের উদ্বোধন করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। স্বামী বিবেকানন্দের জন্মতিথিতেই গঙ্গা আরতির প্রস্তুতি শুরু হবে বলেই জানান তিনি। সেই মতো বাবুঘাটে শুরু হয়েছে প্রস্তুতি। তবে তারই মাঝে গঙ্গা আরতি নিয়ে তুঙ্গে রাজনৈতিক চাপানউতোর।