ধ্রুবজ্যোতি বন্দ্যোপাধ্যায়: জল্পনাই যেন সত্যি হল। বিধাননগর পুরভোটে তৃণমূলের প্রার্থী হলেন প্রাক্তন মেয়র তথা বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে ফেরা সব্যসাচী দত্ত। বিদায়ী মেয়র কৃষ্ণা চক্রবর্তীও রয়েছেন তালিকায়। এছাড়া টিকিট পেলেন নিউটাউনের বিধায়ক তাপস চট্টোপাধ্যায়ের মেয়ে এবং যুব তৃণমূল নেতা দেবরাজ চক্রবর্তীও।
২০১৫ সালে নতুন করে তৈরি হয় বিধাননগর পুরসভা। সে বছরের অক্টোবরে তৃণমূলের হয়ে ভোটযুদ্ধে অবতীর্ণ হন সব্যসাচী দত্ত। জয়ীর হাসি হাসেন তিনি। তবে ৪ বছর পর ২০১৯ সালের লোকসভা ভোটের পর ঘাসফুল শিবিরের সঙ্গে সম্পর্কের অবনতি হয় তাঁর। মেয়র পদ থেকে ইস্তফা দেন। রাজনৈতিক মহলে শিবির বদলের জল্পনাও তৈরি হয়েছিল। সেই গুঞ্জনকে সিলমোহর দিয়ে বিজেপিতে যোগ দেন সব্যসাচী। অমিত শাহের হাত ধরে পদ্ম শিবিরে নাম লেখান। দলে যোগের ‘উপহার’ হিসাবে বিধানসভা ভোটের টিকিট পান। গেরুয়া শিবিরের হয়ে লড়ে পর্যুদস্ত হন। সুজিত বসুর বিরুদ্ধে ভোটে লড়ে হেরে যান। এরপরই ফের দলবদল করেন সব্যসাচী। চলতি বছরেই তৃণমূলে ফেরেন তিনি। এবার বিধাননগর পুরভোটে তৃণমূলের হয়ে লড়বেন সব্যসাচী দত্ত। ৩১ নম্বর ওয়ার্ডের প্রার্থী করা হয়েছে তাঁকে।
[আরও পড়ুন: Omicron: কীভাবে বুঝবেন আপনি ওমিক্রন আক্রান্ত? জেনে নিন উপসর্গ]
এদিকে, সব্যসাচীর ইস্তফার পর কৃষ্ণা চক্রবর্তী বিধাননগর পুরনিগমের দায়িত্ব সামলেছেন। সেই কৃষ্ণা চক্রবর্তীর উপরেও ভরসা রেখেছে দল। ২৯ নম্বর ওয়ার্ড থেকে এবার পুরভোটে লড়ছেন তিনি। রাজারহাট-নিউটাউনের বিধায়ক তাপস চট্টোপাধ্যায়ের কন্যা আরাত্রিকা ভট্টাচার্য লড়ছেন ৩ নম্বর ওয়ার্ড থেকে। যুব নেতা দেবরাজ চক্রবর্তী ৭ নম্বর ওয়ার্ড থেকে তৃণমূলের হয়ে ভোটে লড়ছেন।
এবার চলুন একনজরে দেখে নেওয়া যাক, আর কে কে রয়েছেন প্রার্থীতালিকায়।
১ নম্বর ওয়ার্ড: পিনাকী নন্দী
২ নম্বর ওয়ার্ড: রহিমা বিবি মণ্ডল
৩ নম্বর ওয়ার্ড: আরাত্রিকা ভট্টাচার্য
৪ নম্বর ওয়ার্ড: শেহনওয়াজ আলি মণ্ডল
৫ নম্বর ওয়ার্ড: নন্দিনী বন্দ্যোপাধ্যায়
৬ নম্বর ওয়ার্ড: সম্রাট বড়ুয়া
৭ নম্বর ওয়ার্ড: দেবরাজ চক্রবর্তী
৮ নম্বর ওয়ার্ড: সুপর্ণা ঘোষ পাল
৯ নম্বর ওয়ার্ড: সমরেশ চক্রবর্তী
১০ নম্বর ওয়ার্ড: প্রণয় রায়
১১ নম্বর ওয়ার্ড: অনিতা বিশ্বাস
১২ নম্বর ওয়ার্ড: সেলিমা বিবি মণ্ডল
১৩ নম্বর ওয়ার্ড: মহম্মদ সিরাজ হক
১৪ নম্বর ওয়ার্ড: শিখা মোহন্ত
১৫ নম্বর ওয়ার্ড: সুজিত মণ্ডল
১৬ নম্বর ওয়ার্ড: জয়শ্রী বাগুই
১৭ নম্বর ওয়ার্ড: আশুতোষ নন্দী
১৮ নম্বর ওয়ার্ড: ইন্দ্রনাথ বাগুই
১৯ নম্বর ওয়ার্ড: পিয়ালি সরকার
২০ নম্বর ওয়ার্ড: প্রসেনজিৎ নাগ
২১ নম্বর ওয়ার্ড: মনোরঞ্জন ঘোষ
২২ নম্বর ওয়ার্ড: অতীন্দ্র সাহা
২৩ নম্বর ওয়ার্ড: ঝুঙ্কু মণ্ডল
২৪ নম্বর ওয়ার্ড: মণীশ মুখোপাধ্যায়
২৫ নম্বর ওয়ার্ড: পূর্ণিমা নস্কর
২৬ নম্বর ওয়ার্ড: সুশোভন মণ্ডল
২৭ নম্বর ওয়ার্ড: বিনু মণ্ডল
২৮ নম্বর ওয়ার্ড: প্রবীর সর্দার
২৯ নম্বর ওয়ার্ড: কৃষ্ণা চক্রবর্তী
৩০ নম্বর ওয়ার্ড: অনিতা মণ্ডল
৩১ নম্বর ওয়ার্ড: সব্যসাচী দত্ত
৩২ নম্বর ওয়ার্ড: কাকলি সাহা
৩৩ নম্বর ওয়ার্ড: বাণীব্রত বন্দ্যোপাধ্যায়
৩৪ নম্বর ওয়ার্ড: রঞ্জন পোদ্দার
৩৫ নম্বর ওয়ার্ড: জয়দেব নস্কর
৩৬ নম্বর ওয়ার্ড: চামেলি নস্কর মণ্ডল
৩৭ নম্বর ওয়ার্ড: মিনু দাস চক্রবর্তী
৩৮ নম্বর ওয়ার্ড: আলো দাস দত্ত
৩৯ নম্বর ওয়ার্ড: রাজেশ চিরিমার
৪০ নম্বর ওয়ার্ড: তুলসি সিনহা রায়
৪১ নম্বর ওয়ার্ড: রত্না ভৌমিক