শাহজাদ হোসেন, ফরাক্কা: কানাঘুষো শোনা গিয়েছিল, সাগরদিঘি উপনির্বাচনে প্রণবপুত্র অভিজিৎ মুখোপাধ্যায়ে ভরসা রাখবে তৃণমূল। কিন্তু গুঞ্জন মিথ্যে করে প্রার্থী হচ্ছেন দেবাশিস বন্দ্যোপাধ্যায়। বর্তমানে সাগরদিঘি ব্লক তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি তিনি।
সাগরদিঘি বিধানসভা কেন্দ্র তৃণমূলের শক্ত ঘাঁটি হিসাবে পরিচিত। টানা তিন বারের বিধায়ক ছিলেন সুব্রত সাহা। তাঁর মৃত্যুর কারণেই উপনির্বাচনয ফলে সকলের নজর ছিল ওই কেন্দ্রে কাকে প্রার্থী করে শাসকদল। কানাঘুষো শোনা যাচ্ছিল, প্রাক্তন রাষ্টপ্রতি প্রণব মুখোপাধ্যায়ের পুত্র অভিজিৎকে প্রার্থী করবে তৃণমূল। কিন্তু দলের তরফে তালিকা প্রকাশিত হতেই দেখা গেল অভিজিৎ নন, সাগরদিঘি বিধানসভা উপনির্বাচনে তৃণমূলের প্রার্থী হচ্ছেন দেবাশিস বন্দ্যোপাধ্যায়। নাম ঘোষণার পরই দেবাশিসবাবু বললেন, “জয় নিয়ে একশো শতাংশ আশাবাদী আমি।”
[আরও পড়ুন: অধ্যাপক নিয়োগেও ‘দুর্নীতি’, বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের বিরুদ্ধে শিক্ষামন্ত্রীকে চিঠি]
জানা গিয়েছে, দেবাশিস বন্দ্যোপাধ্যায় সাগরদিঘি ব্লক তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি। মুর্শিদাবাদের সাগরদিঘির বাড়ালা গ্রাম পঞ্চায়েতের সমশাবাদের বাসিন্দা তিনি। সর্বক্ষণের রাজনৈতিক কর্মী। সূত্রের খবর, প্রাক্তন বিধায়ক সুব্রত সাহার সঙ্গে তাঁর মতানৈক্য ছিল। ২০১৬ সালে যুব সভাপতি থাকাকালীন সুব্রত সাহার বিরোধিতা করায় নির্বাচনের মুখে মুর্শিদাবাদ জেলায় নির্বাচনী সভায় এসে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায় তাঁকে দলবিরোধী কাজের জন্য বহিস্কার করেছিলেন। মাস কয়েক আগে সাগরদিঘির বিধায়ক মন্ত্রী সুব্রত সাহার আপওি থাকা সত্ত্বেও সাগরদিঘির ব্লক সভাপতি করা হয় দেবাশিস বন্দোপাধ্যায়কে। এবার উপনির্বাচনের প্রার্থী তিনি।
জঙ্গিপুর সাংগঠনিক জেলা তৃণমুল কংগ্রেস চেয়ারম্যান বিধায়ক কানাইচন্দ্র মণ্ডল জানান, সাগরদিঘি মানুষের দাবি ছিল কোনও ভূমিপুএকে প্রার্থী করার। দলনেত্রী সেই দাবিকে মান্যতা দিয়ে সাগরদিঘির ব্লক তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি দেবাশীষ বন্দোপাধ্যায়কে প্রার্থী করেছেন। নির্বাচনে আমাদের প্রধান ইস্যু হবে রাজ্য সরকারের প্রতি কেন্দ্রের বঞ্চনা ও রাজ্য সরকারের বিভিন্ন উন্নয়ন।” তিনি আরও জানান, কোনও বড় নির্বাচনী সভা হবে না। ছোট ছোট পদসভা ও কর্মিসভা করা হবে। সাগরদিঘি উপনির্বাচনে তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী লক্ষাধিক ভোটে জয়লাভ করবে।