সংবাদ প্রতিদিন ব্যুরো: ভোটের মুখে পূর্ব মেদিনীপুরের ভূপতিনগরে NIA অভিযান ঘিরে তুঙ্গে রাজনৈতিক তরজা। সন্দেশখালির মতো অভিযানে গিয়ে বাধার মুখে পড়েছেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিকরা। এনিয়ে রাজ্য প্রশাসনের রিপোর্ট তলব করল নির্বাচন কমিশন (Election Commission of India)। মুখ্যসচিব এবং রাজ্য পুলিশের ডিজির কাছে এবার রিপোর্ট চেয়ে পাঠানো হয়েছে কমিশনের তরফে। শনিবার বিএসএফ গেস্ট হাউসে রাজ্য প্রশাসনের সঙ্গে কমিশনের আধিকারিকদের বৈঠক ছিল ভিডিও কনফারেন্সে। বাহিনী বিন্যাস নিয়ে আলোচনা চলাকালীনই ভূপতিনগর নিয়ে রিপোর্ট চাওয়া হয়। অন্যদিকে, তৃণমূল (TMC) প্রতিনিধিদলও কমিশনের দ্বারস্থ হতে চায়। তার জন্য আলাদা করে সময় চাওয়া হয়েছে।
ঠিক কী ঘটেছে ভূপতিনগর? এনআইএ-এর (NIA) বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, গত ২০২২ সালের ডিসেম্বরের বিস্ফোরণের ঘটনায় এনআইএ শনিবার দুজনকে গ্রেপ্তার করতে যায়। পাঁচটি জায়গায় তল্লাশির পর বলাইচরণ মাইতি এবং মনোব্রত জানাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। কিন্তু অভিযোগ, মনোব্রত জানার বাড়ির কাছে স্থানীয় বাসিন্দারা জড়ো হন। তাঁরা বাধা দেওয়ার চেষ্টা করেন। তাঁরাই হামলা চালায়। এনআইএ প্রতিনিধি দলের একজন জখম হন। গাড়িও ভাঙচুর করা হয়। এই ঘটনায় স্থানীয় থানায় এফআইআর দায়ের করা হয়েছে। ধৃত দুই তৃণমূল নেতা মনোব্রত জানা এবং বলাইচরণ মাইতির বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ করেছে এনআইএ। কেন্দ্রীয় এজেন্সির দাবি, তাঁরা বোমা তৈরি, এলাকায় বোমাবাজি এবং সন্ত্রাস ছড়ানোর সঙ্গে প্রত্যক্ষভাবে জড়িত।
[আরও পড়ুন: ব্রাজিল সুন্দরীর সঙ্গে রাতভর পার্টিতে মত্ত আরিয়ান! শাহরুখপুত্রকে উড়ন্ত চুমু ‘ওগো বিদেশিনী’র]
সেই ঘটনা নিয়ে কড়া প্রতিক্রিয়া দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (CM Mamata Banerjee)। কেন পুলিশকে সঙ্গে না নিয়ে অভিযানে গিয়েছে NIA, এই প্রশ্ন তোলেন তিনি। এর পর দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ভূপতিনগর নিয়ে বিশেষ নির্দেশ দেন। সেই নির্দেশমতো রবিবার রাজ্যের মন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য এবং প্রাক্তন সাংসদ কুণাল ঘোষ যাবেন সেখানে। স্থানীয় নেতৃত্বকে নিয়ে বড় জনসভা হবে অর্জুননগরে। পাশাপাশি, NIA-র মতো কেন্দ্রীয় সংস্থাকে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে ব্যবহার করা হচ্ছে, এই অভিযোগে তৃণমূল নির্বাচন কমিশনের দ্বারস্থ হচ্ছে।