সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: দলীয় মুখপত্র ‘জাগো বাংলা’য় (Jago Bangla) ফের কংগ্রেসকে তুলোধোনা করল তৃণমূল কংগ্রেস (TMC)। ‘জাগো বাংলা’র সম্পাদকীয়তে তৃণমূলের বক্তব্য, আন্দোলন বিমুখ কংগ্রেস এখন যেন ডিপফ্রিজে। নেতারা টুইট সর্বস্ব। ইউপিএ (UPA) ভগ্ন। আর কংগ্রেসের এই অচলাবস্থায় বিকল্প বিরোধী মুখ হিসাবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ই (Mamata Banerjee) সর্বজনগ্রাহ্য এবং জনপ্রিয়। তাঁর দিকেই তাকিয়ে রয়েছে বিরোধীরা।
গতকালই ভোটকুশলী প্রশান্ত কিশোর (Prashant Kishor) সরাসরি আক্রমণ শানিয়েছিলেন কংগ্রেস নেতৃত্বকে। তাঁর সাফ বক্তব্য, শেষ ১০ বছর ৯০ শতাংশ নির্বাচনে হেরেছে কংগ্রেস। এর নেতৃত্ব দেওয়াটা কংগ্রেস নেতৃত্বের ঈশ্বরপ্রদত্ত কোনও অধিকার নয়। কিন্তু এ হেন বিস্ফোরক টুইটের পর কংগ্রেসের (Congress) শীর্ষ নেতৃত্বের তরফে পিকের বিরুদ্ধে সেভাবে ঝাঁজালো আক্রমণ নেমে আসেনি। শুধু তাই নয়, তৃণমূল কংগ্রেস লাগাতার কংগ্রেস নেতৃত্বের দুর্বলতার কথা লাগাতার জনসমক্ষে তুলে ধরলেও খোলাখুলি তৃণমূলের বিরোধিতা করার সাহস দেখাতে পারছেন না রাহুল গান্ধীরা। বরং, তৃণমূল নিয়ে কংগ্রেস এখনও দ্বিধাবিভক্ত। ‘জাগো বাংলা’য় ঘাসফুল শিবিরের বক্তব্য, কংগ্রেস নেতৃত্ব আসলে সেই ঝাঁজটাই হারিয়ে ফেলেছে। দলের শীর্ষ নেতৃত্বের বিরুদ্ধে প্রশ্ন তুলে দেওয়ার পরও তাঁরা প্রতিক্রিয়া দেওয়ার মতো সাহস দেখাতে পারছে না।
[আরও পড়ুন: লোকসভায় ৩০০ আসন পাওয়ার ক্ষমতা নেই কংগ্রেসের! দলের অস্বস্তি বাড়ালেন গুলাম নবি আজাদ]
আসলে, গত কয়েকমাসে জাতীয় রাজনীতিতে তৃণমূলে যতটা দ্রুত গতিতে উত্থান ঘটিয়েছে, কংগ্রেস যেন ততই সমস্যা জর্জরিত হয়ে যাচ্ছে। দলের কোন্দল সামলাতেই তাঁরা ব্যস্ত। গতকালই দলের শীর্ষনেতা গুলাম নবি আজাদ বলে দিয়েছেন, আগামী লোকসভা নির্বাচনে (Lok Sabha) বিজেপির মতো ৩০০ আসন জিতে আসার ক্ষমতা তাঁর দলের নেই। অর্থাৎ, ক্ষমতা থেকে ক্রমশ দূরে সরে যাচ্ছে কংগ্রেস। তৃণমূলের বক্তব্য, আজাদ যে কথা বলছেন, অনেকদিন আগে থেকেই তারা সেকথা বলে আসছে। তৃণমূল বহু আগে থেকেই বলে আসছে, ইউপিএ শেষ। নবকলেবরে বিরোধী জোট দরকার। দলীয় কোন্দল এবং রক্তক্ষরণে কংগ্রেস এতটাই বিদীর্ণ যে দল ধরে রাখাই সমস্যা হয়ে দাঁড়াচ্ছে।
[আরও পড়ুন: ‘নেতৃত্ব কোনও ব্যক্তির ঈশ্বর প্রদত্ত অধিকার নয়’, রাহুল গান্ধীকে বেনজির আক্রমণ প্রশান্ত কিশোরের]
তৃণমূলের সাফ কথা, “কংগ্রেস নিজেদের ডিপফ্রিজে বন্দি করে রেখেছে। সামান্য লোকদেখানো আন্দোলন ছাড়া শীর্ষ নেতারা ঘরবন্দি এবং টুইট সর্বস্ব। কিন্তু দেশে এই মুহূর্তে বিরোধী জোটের দরকার। সেই দায়িত্ব বিরোধীরা তৃণমূল নেত্রীকেই দিয়েছেন। কারণ তিনিই এখন সর্বজন গ্রাহ্য, জনপ্রিয় বিরোধী মুখ। তাঁর দিকেই তাকিয়ে বিরোধী শক্তি।”