নন্দিতা রায়, নয়াদিল্লি: মণিপুর নিয়ে কেন্দ্রের বিলম্বিত বোধদয়! সর্বদল বৈঠকের ডাক দিয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। কিন্তু স্রেফ সর্বদল বৈঠক যথেষ্ট নয়। মণিপুরের মানুষের মধ্যে আত্মবিশ্বাস ফেরাতে হলে পাঠাতে হবে সর্বদলীয় প্রতিনিধি দল। এমনটাই দাবি সর্বভারতীয় তৃণমূল কংগ্রেসের।
গত ৩ মে থেকে জাতিদাঙ্গায় জ্বলছে মণিপুর (Manipur)। হাজার হাজার সেনা মোতায়েন করেও নিয়ন্ত্রণে আনা যাচ্ছে না কুকি (Kuki) এবং মেইতেই জনগোষ্ঠীর সংঘর্ষ। সম্প্রতি মণিপুর সরকারের এক রিপোর্ট বলা হয়েছে, রাজ্যে মায়ানমার থেকে অনুপ্রবেশ ঘটছে। প্রায় ২ হাজার অনুপ্রবেশকারী রয়েছে রাজ্যে। এই পরিস্থিতিতে বিরোধীদের টানা আক্রমণের মুখে পড়ে একপ্রকার বাধ্য হয়েই শনিবার সর্বদল বৈঠক ডাকেন অমিত শাহ (Amit Shah)।
[আরও পড়ুন: ‘একজন মানুষের কতজন ঘনিষ্ঠ বন্ধুর দরকার?’ অশ্বিনের ‘বন্ধু নয় সতীর্থ’ মন্তব্যের পালটা দিলেন শাস্ত্রী]
সেই বৈঠকে তৃণমূলের তরফে যোগ দিয়েছেন দলের রাজ্যসভার দলনেতা ডেরেক ও’ব্রায়েন (Derek O’Brien)। তৃণমূলের দাবি, “মণিপুরে ভীতি, আশঙ্কা আর নিরাশার আবহ। বহু মুল্যবান প্রাণ চলে গিয়েছে। আজ মণিপুরে জিনিসপত্রের দাম আকাশছোঁয়া, ৪ হাজার বাড়িতে আক্রমণ হয়েছে, ৬০ হাজার মানুষ ঘরছাড়া। ৫০ দিন ইন্টারনেট নেই। সেখানে সাংবিধানিক সব ব্যবস্থা ভেঙে পড়েছে। মণিপুর জ্বলছে মানে অসম, মেঘালয় সব রাজ্যের উপরই প্রভাব পড়বে।”
[আরও পড়ুন: রোহিত নন, ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে ওয়ানডে সিরিজে এই অলরাউন্ডারকে ক্যাপ্টেন চেয়েছিলেন ভাজ্জি]
তৃণমূল বলছে, গত ২৯ মে মণিপুরে যেতে চেয়ে চিঠি লিখেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। প্রায় ৩ সপ্তাহ বাদে কেন্দ্র শুধু সেই চিঠির প্রাপ্তিস্বীকার করেছে। ১৫ জুন ডেরেক ও’ব্রায়েন সংসদে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা চেয়ে চিঠি দিয়েছিলেন সংসদীয় কমিটিকে। সেই দাবিও মানা হয়নি। কেন্দ্রের ব্যর্থতায় আজ মণিপুরের হিংসা সাম্প্রদায়িক হিংসায় পরিণত হয়েছে। ২৫০টা চার্চ ভেঙেছে। ১৭টা মন্দির গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। এরাজ্যের শাসকদলের দাবি, কেন্দ্র সরকারকে আগে নিজের ব্যর্থতা মেনে নিতে হবে। এবং সব দলের প্রতিনিধিদের পাঠাতে হবে হিংসা কবলিত রাজ্যে। কারণ সরকার এখনও মণিপুর নিয়ে ইতিবাচক কোনও পদক্ষেপ করেনি।